আপনজন ডেস্ক: ফ্রান্সের প্যারিসে শনিবার রাতের ফাইনালে ১-০ গোলে লিভারপুলের বিরুদ্ধে জিতে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল মাদ্রিদের দলটি। জমজমাট ফাইনালে ৫৯তম মিনিটে এক মাত্র গোলটি করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। মোহামেদ সালাহর বিধ্বংসী আক্রমণ, সাদিও মানের বুলেট গতির শটে জেরবার অবস্থা। কিন্তু থিবো কোর্তোয়া অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় শুধু পোস্ট আগলে রাখলেন না, যেন ধরে রাখলেন রিয়াল মাদ্রিদের হাল। এর মাঝেই আচমকা এক প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান গড়ে দিলেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
চলতি আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত সব প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা কার্লো আনচেলত্তির দলই সাফল্যের রঙ-তুলি দিয়ে আঁকল চেনা ছবি। আবারও ইউরোপ সেরার মুকুট উঠল তাদের মাথায়। নকআউট পর্বের প্রতিটি ধাপেই তারা পড়েছিল ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে এবং হার না মানা, হাল না ছাড়া মানসিকতায় প্রতিবারই খাদের কিনারা থেকে দুর্দান্ত সব ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখে দলটি। ফাইনালের মঞ্চে অবশ্য তেমন কোনো গল্প বা মহাকাব্য নয়, প্রতিপক্ষের টানা আক্রমণের মুখে ঘর সামলাতেই ব্যস্ত সময় কাটে তাদের। তবে, এত চাপে একটুর জন্যও দিক হারায়নি দলটি। রক্ষণ জমাট রেখে কাটিয়ে দেয় সময় আর বিশ্বস্ত প্রহরীর মতো পোস্ট আগলে রাখলেন কোর্তোয়া।
মাঠে আক্রমণের হিসেবে লিভারপুলের দাপট কতটা ছিল, তা ম্যাচ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট ফুটে উঠছে। গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নেয় তারা, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে রিয়াল নিতে পারে মোটে চার শট, লক্ষ্যে মাত্র দুটি। লিভারপুল ভক্তদের জন্য যেন সময়টা ভালো কাটছেই না। ফাইনাল দেখতে আসার আগে ফ্লাইট আর যাত্রা বাতিল হলো। তারপরও অনেক ঝক্কি নিয়ে প্যারিসে যেতে হয়েছে তাদের। এরপর মাঠে ঢোকা নিয়ে শুরু হলো বিপত্তি। হাজার হাজার দর্শক মাঠে। শেষ পর্যন্ত লিভারপুলের দর্শকদের কাঁদিয়ে শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে ওঠলো রিয়াল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct