সেখ আনোয়ার হোসেন, হলদিয়া, আপনজন: আদালতের নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, বিচার বিভাগে এমন দু-একজন আছেন যারা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেন। কিছু লোক আছেন যারা প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। হলদিয়ায় শ্রমিক সংগঠনের সভায শনিবার অভিষেক বলেন, সত্যি কথা বলার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ক্যামেরার সামনে দু’হাজার বার এই কথা বলব। আদালতের নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, বিচার বিভাগে এমন দু-একজন আছেন যারা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেন। কিছু লোক আছেন যারা প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। হলদিয়ায় শ্রমিক সংগঠনের সভায শনিবার অভিষেক বলেন, আমার বলতে বলতেও আজ লজ্জা লাগে, যে বিচারব্যবস্থার এক জন-দু’জন এমন রয়েছেন, যাঁরা সম্পূর্ণ যোগসাজশে কাজ করছেন। এক শতাংশ এমন আছেন, যাঁরা তল্পি বাহকের কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছেন। আপনার যদি মনে হয়, এই সত্যি কথা বলার জন্য ব্যবস্থা নেবেন, ক্যামেরার সামনে দু’হাজার বার এই কথা বলব।
এদিনের সভা থেকে অভিষেক ঘোষণা করেন, অনুগামী ঠিকাদার, সিপিএম বিজেপি থেকে আসা লোক কাউন্সিলররের টিকিট পাবে না। দলত্যাগীদের ফেরত নেওয়া, বিজেপি থেকে আসা নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো,এ সব নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা নিয়ে এ বার পরিষ্কার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শুক্রবার শ্রমিক সম্মেলনে হলদিয়ায় প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। এই প্রথম দলীয় কর্মীরা বলেছেন, নেতারা শুনেছে। শুক্রবার প্রায় ৫০ জন কর্মী বক্তব্য রেখেছেন। সবকথা আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। কে কারা আগের দিন বিএমএসের ঝাণ্ডা তুলেছে, আর পরের দিন তৃণমূলে এসেছে, তার তালিকা আমার কাছে আছে। আমি তাদের চিহ্নিত করেছি। সভায় আসার পথেও আমি ৪-৫ জনকে চিহ্নিত করেছি। দলের বিভীষণকে আমরা চিহ্নিত করেছি।যার নেতৃত্বে উত্তর কলকাতায় গুণ্ডামি করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হল। এই জেলার একসময়ের সর্বেসর্বা তাঁর পদলেহন চলত। নিজেকে ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচাতে দলবদল করল ।দিল্লির বুকে মেদিনীপুরের আবেগকে বিক্রি করল। নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ। আমার পিছনে তো ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দিয়েছিল, আমার মাথা নিচু করতে পেরেছে? সেই প্রশ্ন তোলেন। অভিষেক বলেন, অনুগামী এক্সচেঞ্জ খুলে বসেছিল কেউ কেউ। কর্মসংস্থানে স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তৃণমূল করলে ঠিকাদারি করা যাবে না।আর ঠিকাদারি করলে তৃণমূল করা যাবে না। দলটা করতে হবে বুকে দলীয় পতাকা নিয়ে,ক্ষমতায় থাকলে ঠিকাদারি করা চলবে না।আর যারা শ্রমিক সংগঠন করছেন, তাঁদের একটাই পরিচয় খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি। দাদার অনুগামী,ওই দাদার অনুগামী বলা চলবে না। দলে একটাই দিদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সংগঠনের নেতাদের বলছি.রাস্তায় নামুন।
দল বদল করে যারা তৃণমূলে এসেছেন তাঁরা হলদিয়া পুরসভা ভোটে টিকিট পাবেন না। কোনও ঠিকাদার ভোটের টিকিট পাবে না। বিজেপি-সিপিএম থেকে আসা নেতারা পুরনো কর্মীদের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এই সব বন্ধ। নাম না করে “শুভেন্দু অধিকারির দিকে ঈঙ্গিত করে” মানুষের টাকা নিয়ে নিয়েছে। নিজে কোটি কোটি টাকা করেছে। টিভির পর্দাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর কথায় কথায় বলে আমি অকৃতদার। আরে আপনি অকৃতদার নন, অকৃতজ্ঞ।সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্মা,মন্ত্রী অখিল গিরি,মন্ত্রী মলয় ঘটক,মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাএ,কুনাল ঘোষ,বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী জেলা সভাপতি তুষার কান্তি মণ্ডল,শিবনাথ সরকার,সুপ্রকাশ গিরি,অভিষেক দাস বিধায়ক সহ নেতৃত্বে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct