আপনজন ডেস্ক: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাজ্য সরকারের বিরোধ নতুন নয়। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যপাল যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাই উপাচার্য নিয়োগে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেই দিনের অবসান ঘটতে চলেছে। রাজ্য বিধানসভায় এই মর্মে বিল পাশ হতে চলেছে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় সেই বিল পাশ হলেই হবে না, তাতে সিলমোহর থাকতে হবে রাজ্যপালের। তবে, রাজ্যপার ও রাজ্যের সংঘাতে তিনি সই করবেন কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সিলমোহর না দিলে রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারে।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বার্ত্য বসু বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভা আজ বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে প্রথমে বিধানসভায় বিল পেশ হবে, পরে তা আইনে পরিণত করা হবে।’ ২০১০ সালে পুঞ্চি কমিশন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালেয়র আচার্য হিসাবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। সেই কমিশনের সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পুঞ্চি কমিশনের সেই সুপারিশ মেনেই রাজ্য মন্ত্রিসভার এ দিনের সিদ্ধান্ত বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তবে, রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার নজির রয়েছে। তামিলনাডুতে এভাবেই বিল পাশ করে রাজ্যপালের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্তালিন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেই দৃষ্টান্তকে অনুসরণ করেই এ রাজ্যেও উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সিদ্ধান্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মনে করেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘তিনিই শুরু, তিনিই শেষ।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct