আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের গলসির ভাসাপুল একটি তেলের মিলে ভয়াবহ আগুন লাগে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বৃহৎ রাইস ব্রান তেল তৈরীর কারখানা। হুডারের বিকট আওয়াজে সবাই বেরিয়ে এলেও ভিতরে থেকে যায় জনা চার পাঁচ শ্রমিক। পুলিশের প্রচেষ্টায় প্রান বাঁচলো মিলের ভিতরে থাকা ঘুমন্ত শ্রমিকের। তারাই গিয়ে মিলের ভিতরে ঘুমন্ত শ্রমিকদের উঠিয়ে রেব করে আনে। আগুনের জেরে পুরোপুরি ভীষ্মভুত তেল মিলের ভুষিঘর সহ বড় বড় গোড়াউন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ২ নং জাতীয় সড়কের গলসির ভাসাপুলে রাধেশ্যাম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজে ওই ভয়ানক আগুন লাগে বলে জানতে পারা গেছে। মিলের এক দেড়শো মিটার পরেই একটি পেট্রোল পাম্প থাকায় ওই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে এলাকায়। আসে পাশের গ্রাম থেকে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষজন। কারখানায় ভিতর থেকে বিশাল আকারে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখে হকচকিয়ে যান পাশে সিংপুর গ্রামের মানুষ সহ এলাকাবাসীরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গলসি থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার। তারই প্রচেষ্টায় কারখানার ভিতরে থাকা ঘুমন্ত শ্রমিকদের উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। খবর যায় দমকলে। তাছাড়াও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন। তিনি বলেন, এমন ভয়াবহ আগুন আগে কোনদিন আমাদের এলাকায় লাগেনি। মিলের ভিতরে প্রচুর ধানের খোসা মজুত আছে। থেকেই আগুন লেগে ওই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান তার। দমকলের ৪ টি ইঞ্জিন এসেছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। এদিকে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন কিছুটা আয়ত্তে আনে দমকল বাহিনী। তবে বেলা গড়ালেও প্রযন্ত পুরোপুরি ভাবে ওই আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানতে পারা গেছে। কারখানার ভিতরে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমানে চালের খোসা অর্থাৎ ভুষি তাই একদিকে আগুন নেভালে অন্যদিকে আবার জ্বলে যাচ্ছে। মিলকতৃপক্ষের সিইও অমিতাভ ব্যানার্জ্জী বলেন, চোখের সামনে ভুষি ঘর থেকে মেশিনঘর সবই দাউদাউ করে জ্বলছে। বয়লারটা বাঁচানোর চেষ্টা করছে দমকলকর্মীরা। তিনি জানিয়েছেন, কদিন হল তারা উৎপাদন বন্ধ রেখেছিলেন। ভিতরে কিছু মেশিনপত্রের কাজ চলছিল। তার দাবী, তাদের সমগ্র ফায়ার লাইনের সাথে সাথে সবকিছু ঠিক ছিল। তার পরও আগুন লাগার ঘটনায় তিনি হতবাক। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখন জানানো সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct