নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে হরিশ্চন্দ্রপুরের সামালার বিল থেকে অপহৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।বুধবার সকালে দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারি এলাকায়।উল্লেখ্য,এলাকা দখলকে ঘিরে কাতলামারি এলাকায় বাশির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের।গত ১৪ মে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাশির ও তার দলবলেরা আব্দুল বারিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী সায়েমা বিবি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে বুধবার অপহৃত আব্দুল বারিকের গলা কাটা পচাগলা দেহ মাখনার জমি থেকে উদ্ধার করে বলে খবর। ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়,নিহতের নাম আব্দুল বারিক!সে উনসাহাকের ভাইপো হয়।বুধবার সকালে বাশিরের ছেলে সাদ্দামকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে মাখনার জমি থেকে বারিকের গলাকাটা পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।তবে দেহ মিললেও মাথার হদিশ মেলেনি।ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাশিরকে মঙ্গলবার ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাসির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদ তিন দশকেরও পুরনো। এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।গত ১৪ মে শনিবার রাতে বাশির দলবল নিয়ে উনসাহাকের ভাইপো আব্দুর বারিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় তার স্ত্রী সায়েমা বিবিকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর থেকে পুলিশ বারিকের খোঁজে তল্লাশি চালালেও তার হদিশ মেলেনি। মঙ্গলবার বাশির ধরা পড়তেই তাকে জেরা করে বারিককে খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।তারপরেই বাশিরের ছেলে সাদ্দামকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আব্দুল বারিকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। নিহতের ভাই সাহেবজান বলেন,বাশির চায় যে ও একাই এলাকায় রাজত্ব করবে।আমরা বাধা দেওয়ায় একাধিকবার আমাদের উপরে গুলি চালায় তারা।আমাকেও একবার গুলি করা হয়েছিল।কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct