সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: বাগজোলা খালের উপর নির্মিত ছেলেগোয়ালিয়া- কচুয়া কংক্রিটের সেতুর ভগ্নপ্রায় দশা দীর্ঘদিন ধরে। এই সেতু দিয়ে এক কৃষকে সবজির রিক্সা নিয়ে পার হতে গিয়ে উল্টে যায় মঙ্গলবার সকালে। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত! গ্রামবাসীদের তৎপরতায় অবশ্য দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর মঙ্গলবার সকালে __ নামের কৃষক সবজি বোঝাই রিক্সা নিয়ে কচুয়ার দিক থেকে ছেলেগোয়ালিয়ার দিকে আসছিলেন। তখনই তার সবজির রিক্সাটি উল্টে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে গিয়ে রিক্সা চালক কৃষককে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের শানপুকুর অঞ্চলের এই সেতুটি প্রায় ৫ বছর ধরে ভগ্নপ্রায় দশা। প্রশাসন বা সেচ দফতরের কোন হেলদোল নেই এ ব্যাপারে। কয়েকবার কাঠ দিয়ে সারাই করা হলেও কিছু দিন পর আবার বেহাল হয়ে পড়ে সেতুটি। সেতুটি এক দিকে কাত হয়ে রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে খালের নোংরা জলে পড়ে যেতে পারেন পথচারীরা। প্রাণ হাতে নিয়ে বাধ্য হয়েই তাই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক, পড়ুয়া থেকে সবাই! এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এই সেতুটি দিয়ে ছেলেগোয়ালিয়া, কচুয়া, কাঠজ্বালা, মানিকতলা, সাতুলিয়া, মাঝেরহাট প্রভৃতি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন কারবালা উচ্চ বিদ্যালয়, কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, আজাদ ইন্সটিটিউশন নামের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঠজ্বালা - ছেলেগোয়ালিয়া খারেজি মাদ্রাসা ও ছেলেগোয়ালিয়া জুনিয়র হাইস্কুলের হাজার হাজার পড়ুয়া। কৃষক ভাইয়েরা সকাল হলেই এই সেতু পেরিয়েই চাষ করতে যান নিড়ানি, কোদাল হাতে। সবজি বিক্রি করতে শোনপুর, পোলেরহাট, কচুয়া, প্রভৃতি বাজারে যেতে হয় এই সেতু ধরেই।এবিষয়ে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় মুঠোফোনে আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, “ সেতুটি সেচ দফতরের অধিনস্ত। আমরা কথা বলছি দ্রুত সেতুটি মেরামতের জন্য।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct