আপনজন ডেস্ক: দিল্লির সাকেত আদালতে কুতুব মিনারে পূজার অধিকারের আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। বিচারপতি নিখিল চোপড়ার একটি বেঞ্চ হিন্দুদের উপাসনার অধিকার চেয়ে করা আবেদনের উপর রায় বহাল রেখেছেন। আগামী ৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি ও চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। শুনানির সময় আদালত আবেদনকারী হরি শংকর জৈনকে বলে যদি বিগত ৮০০ বছর ধরে উপাসনা ছাড়াই সেখানে দেবতারা উপস্থিত থাকেন, তাহলে তাদের এভাবেই থাকতে দিন। শুনানির সময় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আইনজীবী এস গুপ্তা ধারাবাহিকভাবে কুতুব মিনারে উপাসনার অধিকার চেয়ে আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেন, কুতুব মিনার কোনও উপাসনালয় নয় এবং এর বর্তমান অবস্থা পরিবর্তন করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, উপলব্ধ রেকর্ডগুলিতে কোথাও উল্লেখ নেই যে মন্দিরগুলি ভেঙে এই দেহাবশেষগুলি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। আদালত সব পক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত জমা দিতে বলেছে। বিষয়টি ৯ ই জুন আদেশের জন্য তালিকাভুক্ত করেছে। দিল্লির সাকেত জেলা আদালতে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ২৭ টি হিন্দু ও জৈন মন্দির “পুনরুদ্ধার” করার দাবি করে বলা হয় কুউওয়াতুল-ইসলাম মসজিদ নির্মাণের জন্য তা ধ্বংস করা হয়েছিল। তাই সেটি মন্দিরে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।গত বছর দেওয়ানি বিচারক দ্বারা খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল, কারণ এটি উপাসনার স্থান (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর বিধানের অধীনে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আবেদনকারী আর্জি জানিয়েছিলেন হরি শংকর জৈন।
আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জৈনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, যে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সটি উপাসনার স্থান নয় এবং ১৯১৪ সাল থেকে কুতুবমিনার একটি সংরক্ষিত সৌধ। সেখানে কখনোই কোনো ধর্মের মানুষ প্রার্থনার আয়োজন করেনি। সেই অবস্থান থেকে সরা যাবে না। জৈন আর্জিতে বলেছিলেন, মসজিদের জন্য ২৭ টি মন্দিরের অবশিষ্টাংশ প্রতিটিতে ২,০০,০০০ ডেলিওয়াল (মুদ্রা) ব্যয় করা হয়েছিল। কিন্তু এএসআইয়ের আইনজীবী এস গুপ্তা বলেন, এই উপকরণগুলি স্থানীয়ভাবে উপলব্ধ ছিল কিনা বা বাইরে থেকে আনা হয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই।
প্রাঙ্গণের অভ্যন্তরে লোহার স্তম্ভের প্রসঙ্গে এএসআই জানায় এই স্তম্ভটি তার মূল স্থানে রয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা যাবে না। আইনজীবী গুপ্তা বলেন, এটা যে বিষ্ণু স্তম্ভ বা মেরু ধ্বজ, তা বলার মতো কোনও রেকর্ড নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct