আজিজুর রহমান,গলসি,আপনজন: সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে চাষিদের জমি লাগোয়া কংক্রিটের পাকা পাঁচিল তোলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন গলসির সিমনোড়ি এলাকার চাষিরা। প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করার পর সুরাহা না মেলায় এদিন আরিয়ান কার্গো নামক একটি বেসরকারী কোম্পানির ওয়াকসপের ভিতরে বিক্ষোভে দেখালেন চাষিরা। স্থানীয় চাষি ইব্রাহিম মল্লিক, বকতিয়ার চৌধুরী, সেখ কামরুজ্জামান, সেখ দেলোয়ার হেসেনের অভিযোগ, টাটা কোম্পানির সাথে চুক্তি করে একটি ওয়াকশপ করেছেন আরিয়ান কার্গো নামক একটি সংস্থা। তারাই সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চাষিদের জল নিকাশী বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকমাস ধরে। যার জেরে এবারেই পাকা ধান ডুবে গেছিল চাষিদের। কংক্রিটের পাঁচিল শুরু হওয়া থেকেই এলাকার ছয় সাতশো বিঘা চাষের জমির ফলন ব্যহত হচ্ছে। জল নিকাশী না হওয়ায় বিস্তৃন জায়গায় জল জমে ক্ষতি হচ্ছে চাষিদের। এখনও গোটা মাঠ জলমগ্ন হয়ে আছে। বিষটি নিয়ে তারা প্রশাসনকে জানিয়ে কোন সুরাহা পাননি। তারা বলেন, শিল্পের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত ফুট ছেড়ে কংক্রিটের নির্মান করতে হয়। সেইসব বললে তাদের কথা মানছে না। এক ফুট ছেড়ে তারা পাকা দেওয়াল তুলছে। এক অফিসার অন্য অফিসারকে বলুন বলে দিনের পর দিন পার করে দিচ্ছে। একফুট ছেড়ে কংক্রিটের দেওয়াল নির্মান করায় তারা বিরাট ক্ষতির মুখে পরেছেন। এরপর এদিন সকলে মিলে কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। তারা ওই নির্মান কাজ বন্ধ না করায় ক্ষোভের আগুনে ফেটে পরে ওয়াক সপে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন, গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাজাহান সেখ। তিনি বলেন, সরকারী নিয়ম না মেনে একফুট ছেড়ে কংক্রিটের দেওয়াল তুলছেন কতৃপক্ষ। এতে চাষিদের জল নিকাশীর অসুবিধা হচ্ছে। শিল্পর ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম না মেনেই হচ্ছে ওই নির্মান। তাছাড়াএক ফুট ছেড়ে পাকা নির্মান করার কোন অনুমতি নেননি তিনি। কতৃপক্ষকে তিনি কাগজ নিয়ে পঞ্চায়েত আসতে বলেছেন। পাশাপাশি চাষিদের সকল দিক তিনি খতিয়ে দেখবেন। এছাড়াও তিনি বিষয়টি বিডিও ম্যাডামকে জানাবেন। ওয়াকসপের মালিক সুনীল কুমার বনসালী বলেন, তিনি বাইরে আছেন। দুইদিন পরে আসবেন। চাষিদের ক্ষতি হোক এমনটি তিনি চান না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct