এম. কে. হিমু,মেমারি,আপনজন: পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির রসুলপুর এর কাছে তিরুপতি হিমঘরে আলু রেখেছিলেন এলাকার আলু চাষিরা। আলু বের করলে দেখা যায় যে আলুর গুণগত মান খুবই খারাপ হয়ে গেছে এবং বেশ কিছু আলু নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নিয়ে বিক্ষোভ চাষিদের। আলু চাষের সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি পাকা আলুচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। দুবার করে আলু লাগিয়ে ছিল কিন্তু আলুর ফলন স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম হয়েছিল। তাই ঋণে জর্জরিত আলু চাষিরা। আলু তোলার পর এলাকার আলুচাষিরা তিরুপতি হিমঘরে সেই আলু মজুদ রেখেছিলেন। অনেকে আগামী মরশুমের জন্য বীজআলুর জন্যও মজুদ রেখেছিল আলু। হিমঘরে মজুদ রাখার পরও আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার আলুচাষিরা। তারা রসুলপুরে জিটি রোডের উপর আলু ছড়িয়ে দিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিক্ষোভরত আলু চাষি সমর ঘোষ জানান ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে দু দুবার আলু চাষ করে, এরপর যদি হিমঘরে আলু রাখার পর এই অবস্থা হয় তাহলে আমাদের সংসার চালানো মুস্কিল হবে। আমাদের দাবী বর্তমান বাজারমূল্য দিয়ে আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে ও গ্যাস লিক করার কারণে আলু নষ্ট হয়েছে বলে আমাদের ধারনা।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখার্জি, মেমারি এক বিডিও ড. এ. এম. ওয়ালিউল্লাহ, ব্লক কৃষি আধাকারিক ও বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। উপস্থিত সকলে চাষিদের অশ্বস্ত করেন এবং আগামী সোমবার হিমঘর কতৃপক্ষ কে নিয়ে আলোচনায় বসবে বলে আশ্বাস দেন। বিপুল পরিমাণ আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে আলুর একটা সংকট দেখা যাবে বলে মনে করছেন অনেক চাষি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিরা মনে করছে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তির অধিক মুনাফার লোভে কৃত্রিমভাবে এই আলু নষ্ট করেছে। এইরকম গুরুতর অভিযোগও ওঠে আলুচাষিদের পক্ষ থেকে। হিমঘরের ম্যানেজার জানান কি কারণে এই সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সমগ্র বিষয়টি মালিকপক্ষকে জানানো হয়েছে। সোমবার সকল চাষিদের নিয়ে আলোচনা করা হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষিদের সাথে মালিকপক্ষের আলোচনার পর ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিরা তাদের আলুর ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাবেন তো? এখন এই প্রশ্নই দানা বাঁধছে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষিদের মনে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct