রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার অন্যতম বড় লিচু বাগান রঘুনাথগঞ্জের লালখানদিয়ার। এই এলাকার লিচু স্বাদে যেমন সুমিষ্ট ঠিক তেমনি ফলনেও বাম্পার। জঙ্গিপুর মহকুমায় মূলত ফরাক্কার নয়নসুখ ও রঘুনাথগঞ্জের লালখানদিয়ারেই সবচেয়ে বেশি লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে। লিচুর চাহিদাও থাকে তুঙ্গে। গত বছরের বিস্বাদ ভুলিয়ে এবছর ব্যাপক ফলনে খুশি হয়েছেন লিচু চাষীরা। ইতিমধ্যেই বাজারে শুরু হয়েছে লিচু বিক্রি। যদিও বাগান মালিকদের বক্তব্য, লিচুর রঙ লাল হলেও এখনও পরিপূর্ণ ভাবে পুষ্ট হয়নি লিচু। সপ্তাহ খানেক পরেই মিলবে সুস্বাদু লিচু। এদিকে সিজিনের প্রথম দিকেই লিচুর চাহিদা ব্যাপক। বাজারে দামও রয়েছে যথেষ্টই।
উল্লেখ্য, মালদার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়েও আম-লিচুর ব্যাপক ফলন লক্ষ করা যায়। প্রতি বছর হাজার হাজার মেট্রিকটন আম উতপাদিত হয় জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের বাগান থেকে। আম ও লিচু চাষের উপর নির্ভর করে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকার উৎপাদিত আম রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করা হয়। এখানের সুস্বাদু আমের চাহিদাও ব্যাপক। লিচুর চাহিদাও কোনো অংশে কম নয়। স্বভাবতই এবছর আম ও লিচুর মুকুল ভালো হওয়ায় খুশি চাষীরা। সামসেরগঞ্জ থেকে রঘুনাথগঞ্জের লালখানদিয়ারে লিচু বাগান কিনেছেন বদরুল ইসলাম, কলিমুদ্দিন শেখরা। তারা জানান, প্রতিবছরের মতো এবছরও লিচু ব্যবসায় আমরা লালখানদিয়ারে বাগান কিনেছি। এবছর গাছে ব্যাপক লিচু ফলন। কিছু কিছু গাছের লিচু পূষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন থেকেই লিচু ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। লালখানদিয়ার এলাকার লিচু শুধু জঙ্গিপুর মহুকুমায় নয়, রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই যায়। এমনকি বিদেসেও রপ্তানি হয় বলেও জানান লিচু ব্যবসায়ীরা। ফলন ভালো হওয়ায় লিচু ব্যবসায় লাভের আশা করছেন তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct