আপনজন ডেস্ক: বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোর প্রাচীন উসমানীয় স্মৃতিচিহ্ন গাজি খসরু বেগ মাদ্রাসায় ৪৭২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ইউরোপের প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মনসুর মালিকতাশ জানান, এবার এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯ ছেলে ও ৬৮ মেয়ে শিক্ষার্থী তাদের উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। তাদের মধ্যে ৯ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ রয়েছেন। গত সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন শিক্ষার্থী ফাতেমা হুসাইন বাহিতাশ। ভালো ফলাফল করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রেখেছেন তিনি। ফাতেমা বলেন, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে যেকোনো শিক্ষার মৌলিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা রাজধানী সারায়েভোর উসমানীয় শাসনামলের প্রাচীন শিক্ষপ্রতিষ্ঠান গাজি খসরুক বেগ মাদরাসা। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় বায়জিদের নাতি বসনিয়ার গভর্নর গাজি খসরু বেগ থাকাকালে এ অঞ্চলে অনেক মসজিদ, মাদরাসা, গ্রন্থাগার ও হাম্মামখানা প্রতিষ্ঠান করেন। ওই বছর ১৫৩৭ সালে ৮ জানুয়ারি নিজের নামে মাদরাসা এসব প্রতিষ্ঠান চালু করেন। গত ৪৭০ বছর যাবত এ প্রতিষ্ঠানটি ইসলাম শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে। উসমানীয় খিলাফতের পতন ঘটলেও বন্ধ হয়নি এসব প্রতিষ্ঠানের সামাজিক কার্যক্রম। সাবেক কমিউনিস্ট যুগোস্লাভিয়ার দীর্ঘ সময় এমনকি ১৯৯২-১৯৯৫ সালের বসনিয়ার যুদ্ধের সময়েও এর শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু ছিল। বসনিয়ার যুদ্ধ ছিল বিগত নব্বুইয়ের দশকে সংঘটিত একটি বড় ট্র্যাজেডি। এ যুদ্ধে নিহতদের বেশিরভাগই ছিল মুসলমান। মুসলমানদের নির্মূল করার উদ্দেশ্যে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছিল সার্বরা। এই যুদ্ধে গণহত্যা ও ধর্ষণ এমনকি শিশু কন্যাদের ধর্ষণ ও শিশুদের হত্যা করাকে যুদ্ধ জয়ের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছিল বর্বর সার্বরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct