নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: রাতের অন্ধকারে এক তৃনমূল কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক তৃনমূল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মালিওর-২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি গ্রামে।এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।অপহৃত হয়েছেন আব্দুল বারিক নাম এক তৃনমূল কর্মী বলে খবর।অপহৃত ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাতলামারি গ্রামে তৃনমূলের দুই গোষ্ঠী আব্দুল বাসির ও উন সাহাক গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘ তিন দশক ধরে একের পর এক দ্বন্দ্ব লেগেই আছে।প্রায় ছয় মাস আগে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রকাশ্যে গুলির লড়াই হয়।যার জেরে রক্তাক্ত হয়েছিল দুই গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন।ছয় মাস কাটতে না কাটতেই আবার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন ওই দুই গোষ্ঠী।এতে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক পন্থী দুটি গোষ্ঠী হলেও উন সাহাক গোষ্ঠীর আব্দুল বারিককে এদিন রাতের অন্ধকারে মুখে কাপড় গুজিয়ে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল বাসিরের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অপহৃত আব্দুল বারিকের স্ত্রী সায়েমা বিবি আব্দুল বাসির সহ তার গোষ্ঠীর ১৫ জনের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।ঘটনার পর থেকেই আব্দুল বাসির গোষ্ঠীর দলবলেরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে উধাও রয়েছেন বলে খবর।
অপহৃত আব্দুল বারিকের স্ত্রী সায়েমা বিবি জানান, শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ তার স্বামীর মোবাইলে ফোন আসে। ইতিমধ্যে আব্দুল বাসিরের গোষ্ঠীর লোকেরা আগে থেকেই অপহরণের প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। সরকারি লোক পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে।দরজা খুলতেই তার আব্দুল বাসিরের লোকেরা আব্দুল বারিকের মুখে কাপড় গুজিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।তার স্ত্রী চিৎকার চেচামেচি করলে তাকেও মারধর করে বেহুঁশ করে দেয় বলে খবর।সেই রাত থেকে স্বামী আব্দুল বারিকের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্ত্রী সায়েমা বিবি।তার অনুমান হয়তো আব্দুল বাসিরের লোকেরা তার স্বামীকে রাতেই মেরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে।পুলিশ সক্রিয়ভাবে তদন্ত শুরু করলে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পেয়ে যেতে পারে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।রবিবার সকাল থেকে কাতলামারি গ্রামটি পুলিশি পাহারায় রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct