নিজস্ব প্রতিবেদক,কালিয়াচক,আপনজন: কালিয়াচকে দুর্ঘটনার ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। কালিয়াচকের বুক চিরে বেরিয়ে গেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। আবার একদিকে চলে গেছে কালিয়াচক-মোথাবাড়ি রাজ্য সড়ক। গুরুত্ব এই দুই রাস্তায় দুর্ঘটনা প্রায়শই লেগে রয়েছে। এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিদের অনেক ক্ষেত্রেই বাঁচানো সম্ভব হয় না। তার অন্যতম কারণ, ওই জখম ব্যক্তিতে হাসপাতালের আনার পূর্বে বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রাথমিক কিছু পরিষেবার দরকার । অর্থাৎ সঠিকভাবে হাসপাতালে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে একটি কর্মশালা হয়ে গেল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সেন্টজন অ্যাম্বুলেন্স মালদা ডিস্ট্রিক্ট সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় রবিবার কালিয়াচক নজরুল ভবনে অনুষ্ঠিত হল প্রাথমিক প্রতিবিধান। পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া ও রক্তদান নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়। কালিয়াচক থানার এস আই, পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পাশাপাশি পথবন্ধু ও অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা এদিন প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্সের লেকচারার অনিলকুমার সাহা, সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্সের সমাজকর্মী সুরজিত মন্ডল। হঠাৎ করে হাত, পা ভেঙে গেলে বা কেটে গেলে, কেউ আচমকা অসুস্থ হলে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানোর পূর্বেই কীভাবে একজন পুলিশকর্মী কিংবা অ্যাম্বুলেন্স চালক রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পারেন, হাতে কলমে দেখানো হয়। এছাড়াও হৃদরোগে আক্রান্ত কিংবা জলে ডোবা ঘটনায় রোগীদের জন্য ব্যবস্থাগ্রহণ প্রশিক্ষণে দেখানো হয়। শিবিরে হাজির ছিলেন ডিএসপি(হেড কোয়ার্টার) প্রশান্ত দেবনাথ, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শান্তিনাথ পাজা, কালিয়াচক থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ, প্রশিক্ষক অনিল কুমার সাহা, স্কাউট মাস্টার মিজানুর ইসলাম প্রমুখ। জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শান্তিনাথ পাজা বলেন, ‘দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের প্রাথমিক করণীয় ব্যবস্থাগুলি নিয়ে শিবির অনুষ্ঠিত হল। তাতে অনেকটা সমৃদ্ধ হল কাজে লাগতে পারে সবার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct