সজিবুল ইসলাম,ডোমকল,আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত জলঙ্গী ব্লকের কাকমারী এবং বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চারঘাটে একটি স্থলবন্দর (ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট) খোলার প্রস্তাব জানিয়ে গত বছর কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি লিখেছিলেন । তার পরে নিজে সরজমিনে পরিদর্শন করেন গত বছর,তার পরে সংসদে চেকপোস্ট করার জন্য আওয়াজ তুলেন ,তিনি সীমান্তের মানুষদের আশ্বাস দেন যে তার সাধ্যমত চেষ্টা করবেন। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত জলঙ্গি ব্লকের চর কাকমারি দিয়ে কিছুটা নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ। জেলার সবথেকে কাছে বাংলাদেশে যাওয়ার মত একটা পরিবেশ রয়েছে এই কাকমারি সীমান্ত এলাকায়। তাই এবার ভারত সরকারের পরে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বহরমপুর লোকসভার সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী চিঠিতে বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা বরাবরই পশ্চিমবঙ্গের একটি সীমান্তবর্তী জেলা। বর্তমানে এই সীমান্তবর্তী এলাকায় কোনো চেকপোস্ট না থাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে অবৈধ পথে ব্যবসা থেকে থেকে চলাচল প্রায় সবই হচ্ছে । অধীর বাবু আরো বলেন যদি বৈধ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে তাহলে অবৈধ ভাবে ব্যবসা ও চলাফেরা বন্ধ হয়ে যাবে ,সঙ্গে অনেক লাভ হবে সরকারের বলে তিনি মনে করেন। সীমান্ত পারাপারের কোনো সরকারি সঠিক ব্যবস্থা নেই বলেই মুর্শিদাবাদে অবৈধ কার্যকলাপ বাড়ছে। তিনি লিখেছিলেন, ‘জলঙ্গিতে অধিকাংশই দরিদ্র শ্রেণির মানুষের বাস। তাদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে অনেক সময়েই সীমান্ত সংক্রান্ত বেআইনি কার্যকলাপ করিয়ে নেওয়া হয়। সীমান্ত পারাপারের সরকারি ব্যবস্থা থাকলে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পারাপারের সমস্যা যেমন মিটবে। তেমনই তা থেকে রাজস্ব আদায়ও করতে পারবে সরকার। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করে বলেন, আমরা এই সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যাবস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ‘হাট’ এবং একটি স্থলবন্দর (ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট) যদি তৈরি করতে পারি, তাহলে ঐ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং নদীর ধারে বসবাসকারী মানুষ বৈধ আয়ের পাশাপাশি তারা সবাই উপকৃত হবে এবং এর থেকে রাজস্ব আয় উৎপন্ন হবে।
অধীর বাবু আরো বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত জলঙ্গী ব্লকের কাকমারী এবং বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চারঘাটে একটি স্থলবন্দর খোলারও প্রস্তাব করা হয়েছে। যেহেতু এটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সম্মতি জড়িত তাই আপনি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চেকপোস্টের বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন চেকপোস্ট বা আন্তর্জাতিক হাট হলে আমার বিধান সভার মানুষ সবথেকে বেশি উপকৃত হবে,আর আমার পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা আছে ও থাকবে। আমাকে দিয়ে যদি কোনো উন্নয়নের কাজ হয় সেটা আমি সব সময় অনুমোদন দিয়ে দিবো। আমি সীমান্ত চেকপোস্ট নিয়ে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জানিয়েছি ।চেকপোস্ট হলে অনেক ভালো হবে বলেন।সিপিআইএম এর প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার বলেন আমরা সরকারের নেই ,তবে উন্নয়ন মূলক কাজ কে সব সময় স্বাগতম জানায়।আমরা দীর্ঘসময় ধরে শুনে আসছি যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত চর কাকমারি তে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট হওয়ার কথা। কিন্তু কেনো যে সেই কাজ হচ্ছে না সেটা বুঝতে পারছিনা। যাতে করে চেকপোস্ট বাস্তবায়িত হয় সেটায় আমরা চায়। কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন আমাদের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী যে ভাবে বাংলার সঙ্গে জেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন সেটা আমাদের গর্বের । তিনি জেলায় একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। তাই এই চেকপোস্ট করার জন্য যে ভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে চলেছেন। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি জেলা বাসী আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট উপহার পাবে। স্থানীয়দের বক্তব্য যদি বাস্তবায়িত হয় চেকপোস্ট তাহলে বিশেষ করে জলঙ্গির বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে অনেক টা,চেকপোস্ট কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দোকান গড়ে উঠবে তাতে অনেক বেকারের হার কমবে জেলার বলে মনে করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct