আপনজন ডেস্ক: একাধিক রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দিতে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় মোদি সরকার। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক। এর আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দিতে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যগুলি। এ সংক্রান্ত মামলায় এক হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হল যে বিভিন্ন রাজ্য এবং এই মামলার সঙ্গে যুক্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কাশ্মীর, লাক্ষা দ্বীপ, মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে। বিজেপি নেতা অম্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের করা মামলায় অংশ নিযে সংখ্যালঘু মন্ত্রক জানিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করতে পারে যদি সেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম থাকে।
উদাহরণ স্বরূপ কেন্দ্র বলে, ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার ইহুদিদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছিল। কর্ণাটক সরকার উর্দু, তেলেগু, তামিল, মালায়লাম, মারাঠি, টুলু, লামানি, হিন্দি, কোঙ্কনি এবং গুজরাটিকে সংখ্যালঘু ভাষা তকমা দিয়েছিল। এর আগে প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণী ভাগ করার জন্য একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এই প্রেক্ষিতে একটি আবেদন দায়ের করে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।এই ধারা অনুযায়ী পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায় - মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সি সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। যদিও উপাধ্যায়ের আবেদন অনুসারে, ভারতের ৯টি রাজ্যে সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct