কুতুব উদ্দিন মোল্লা,জয়নগর,আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার অন্তর্গত বাইশহাটার পশ্চিম জুথিয়া গ্রামে।ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের।মৃতের নাম আলতাব হোসেন মোল্লা বয়স(৩১)।ঘটনাটি ঘটেছে ৬ মে কেরালার কোজিকোডে জেলার নাদাপুরম থানার অন্তর্গত তানিয়া পানডুল এলাকায়। উল্লেখ্য পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আলতাব ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে সংসার নির্বাহ করতেন।বিগত দিন লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসেছিল। ধারদেনা ও করেছিলেন।পরিস্থিতি স্বাবাভাবিক হতে ধারদেনা শোধ করার জন্য গত ২৪ এপ্রিল কেরালার কোজিকোডে জেলার নাদাপুরম থানার অন্তর্গত তানিয়া পানডুল গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করছিলেন। গত ৬ মে সেখানে কাজ করাকালীন আচমকা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক।সঙ্গীসাথীরা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের।ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আচমকা স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী জান্নাতুন মোল্লা ।পরে ভিনরাজ্য থেকে স্বামীর মৃতদেহ কিভাবে আনবেন সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উবে যায় মোল্লা পরিবারের সদস্যদের।এরপর স্থানীয় লোকজন জয়নগর কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মন্ডলের দ্বারস্থ হয়।সাংসদ প্রতিমা মন্ডল দ্রুততার সাথে মানবিক ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য। তাঁর প্রতিনিধি জিয়ারুল হক খাঁন কেরালা সরকারের সাথে কথা বলে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ তার বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে।সেখান থেকে বিমান যোগে সোমবার ভোররাতে মৃতদেহ আনা হয় কলকাতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে।পরে থেখান থেকে শববাহী গাড়ি করে মৃতদেহ পৌঁছায় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে।পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে সাংসদ যেভাবে তৎপরতার সাথে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা অকল্পনীয়।তাঁদের দাবী অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে আরো অসহায় হয়ে পড়লো পরিবার। সরকার যদি মুখ তুলে তাকায় এই পরিবারের পাশে তবে খুবই ভালো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct