রঙ্গিলা খাতুন,বড়ঞা,আপনজন: সংসার সামলাতে রুটিরুজির টানে কাজে গিয়েছিলেন ভিনদেশে। আর সেখানে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাংলার যুবক। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির বড়ঞা থানার বদুয়া গ্রামের বাসিন্দা নাম আলি হোসেন শেখ (৩৪)। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত আলী হোসেনের দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করলেও কোনো সুরাহা মিলেনি। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে সৈয়দি আরবেই জানাযার নামাজ পড়ে খবর দেওয়া হয়েছে জানান মৃত আলীর ফুপাইতো ভাই মাহাবুর রহমান।
মৃত আলী হোসেনের স্ত্রী রাজ নেহার খাতুন বলেন গত তিন বছর আগে কাজের সুত্রে সৈয়দি আরবের আল খারিজে গিয়েছিল, ওখানে কপিলের সঙ্গে ইকামা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। বাইরে বাইরে কোনো রকমে কষ্ট করে কাজ করত। ঈদের আগে বাড়ি বাড়ি ফেরার কথা ছিল কিন্তু ইকামার জন্য সঠিক সময়ে বাড়ি ফিরতে পারেনি। সৈয়দি আরবেই ঈদের নামাজ পড়েন। তার স্ত্রী আরও জানান মঙ্গলবার রাত্রি আটটার সময় আমার সঙ্গে কথা হচ্ছিল আবার পর ফোন করছি বলে রেখে দেওয়ার পাঁচ মিনিট পর সেখান থেকে তার বন্ধুরা জানান মারা গেছে। আমি তো বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না। পরিবার সুত্রে জানা গেছে মৃত আলী হোসেনের দেহ আনার জন্য কপিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে দায়িত্ব নেয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেভাবে আশ্বাস না পাওয়া যায়নি তাছাড়া দেহ আনার জন্য লাখ লাখ টাকার প্রসঙ্গ উঠছে। দিনমজুরের কোনো রকমে সংসার চলে। তাই লাশ আনা নিয়ে চিন্তায় পরিবার। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার মৃত আলী হোসেনের জানাযার নামাজ পড়ে সৈয়দ আরবেই মাটি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ফুপাতো ভাই মাহাবুর রহমান। মৃত আলী হোসেনকে শেষ বারের মতো দেখতে না পেয়ে চোখের জলে ভেজালেন স্ত্রী রাজ নেহার খাতুন। এখনো বাবার অপেক্ষায় ছয় বছরের ফুটফুটে মেয়ে সরা খাতুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct