আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর প্রথম ঈদ উদাযাপন করেন মুসলিমরা। যুদ্ধাহত দেশটি এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপনের দৃশ্য ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানের উদ্দেশ্যে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে অনেক ইউক্রেনীয়। কিছুটা হামলা হলেও রাজধানী কিয়েভ আগের চেয়ে অনেকটা শান্ত। তাই শহরে ফিরে এসেছেন অনেক মুসলিম। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সেখানে বিরাজ করছে আনন্দ ও উৎসবমূখর পরিবেশ। ঈদ উদযাপনে মেতে উঠেন শিশু-কিশোররা। সোমবার আল জাজিরা মুবাশিরকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা জানান ইউক্রেনের মুসলিম কমিউনিটির প্রধান সিরানা আরিফোবা। এর ওইদিন তিনি দেশটির মুসলিমদের রমজান মাসের পর পবিত্র ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, কিয়েভ শহরের আল রায়িদ মসজিদে যুদ্ধ শুরুর পর দৈনন্দিন নামাজে ১৫-২০ জন মুসল্লি উপস্থিত হতেন। কিন্তু এখন অনেক মুসল্লি নামাজ পড়তে মসজিদে আসছেন। আর পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি। সিরান আরিফুফ আরো জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউক্রেনের মুসলিম কাউন্সিল। যেন সেখানকার ঈদের উৎসবমুখর পরিবেশ অনুভব করেন মুসলিমরা। ফলে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল তাদের মনে। তবে যুদ্ধের কারণে তাদের ঈদ আনন্দে মিশে ছিল ভয় ও আতঙ্ক।
ইউক্রেনে রুশ হামলায় অন্তত ২০ জন সাধারণ মুসলিম নিহত হয়েছেন। অবশ্য সেনাবাহিনীতে মুসলিম সৈন্যের নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি। ইতিমধ্যে দেশটির তিনটি মসজিদ হামলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া মুসলিম কমিউনিটির পাঁচ পরিবারের ঘর পুরোপুরি বা আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। রাজধানী কিয়েভ শহরের আল রায়িদ মসজিদে ঘিরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ঈদের নামাজের পর শিশুদের খেলায় মেতে উঠতে দেখা যায়। শিশু-কিশোর ও সব বয়সীদের মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। ইউক্রেনে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় দেড় মিলিয়ন। এদের মধ্যে এক মিলিয়ন কিয়েভ শহর ও পূর্ব-দক্ষিণ অঞ্চলে বসবাস করেন। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপকূলে রাশিয়ার দখলদারিত্বের কারণে প্রায় অর্ধ-মিলিয়ন মুসলমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আরিফুফের দাবি মতে তা মুসলিমদের ভূমি ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct