অমরজিৎ সিংহ রায়,বালুরঘাট,আপনজন: লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে উপভোক্তাদের হাতে চেক(প্রতিরূপ) ও শুভেচ্ছাবার্তা তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল মোডের মাধ্যমে। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অবস্থিত বালুছায়া প্রেক্ষাগৃহে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানি এ, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) বিবেক কুমার, মহকুমা শাসক (সদর) সুমন দাশগুপ্ত, মহকুমা শাসক (গঙ্গারামপুর) পি প্রমোদ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক ও বিশিষ্ঠজনেরা।এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি ব্লক ও তিনটি পৌরসভা এলাকার প্রায় ২৫০ জন উপভোক্তার হাতে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থমূল্যের চেক তুলে দেয়া হয়।এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানি এ জানান, আজকে কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভার্চুয়াল মোডে এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সর্বশেষ দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে যারা এই প্রকল্পের আবেদন করেছিলেন তাদের সবার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন করে আবেদন করা ৩৮ হাজরের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ উপভোক্তা তাদের অ্যাকাউন্টে অর্থমূল্য পেয়ে গেছেন।এই প্রকল্পে আমাদের আগে উপভোক্তা ছিলেন তিন লক্ষ কাছাকাছি। এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা দিপালী বসাক জানান, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে চেক আজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমরা গৃহবধূ। আমাদের এই সুবিধা দেয়া হয়েছে। এজন্য আমরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।উল্লেখ্য,একুশের বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব থেকে বড় চমক ছিল এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার সরাসরি বাড়ির মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০০ করে পাঠায়। ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তফশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের ক্ষেত্রে এই টাকার অঙ্কটা মাসে ১০০০ টাকা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct