এহসানুল হক,দেগঙ্গা,আপনজন: কর্নাটক থেকে নিথর পাঁচ শ্রমিকের মৃতদেহ ফিরল দেগঙ্গায়, এলাকায় মানুষ শোকাহত। বিমানবন্দর থেকে সেই পাঁচ দেহকে নিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই প্রথম দিন থেকেই জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ তত্ববোধনে আছেন, বিমানবন্দরে সকাল থেকেই মৃত্যু পরিবারের পাশে ছিলেন।অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন মৃত পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা দেবেন।সেই মত আজ মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকারি সাহায্য করল রাজ্য সরকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে ম্যাঙ্গালুরুতে মৃত পাঁচ শ্রমিক পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দিল জেলা প্রশাসন। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, দেগঙ্গা এবং হাড়োয়ার দুই বিধায়ক রহিমা বিবি ও বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম,জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ-সহ প্রশাসনের অন্য কর্তারা । এছাড়া নিহত শ্রমিকদের প্রতিটি পরিবারকে বাংলা আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বনমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, “যখনই রাজ্যের কোনও মানুষ বিপদে পড়েছেন তখনই দলমত নির্বিশেষে সেই পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেগঙ্গার নিহত পাঁচ শ্রমিক পরিবারের পাশেও ঠিক একইভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি, একদিন যেতে না যেতেই ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তুলে দিলেন তাদের হাতে।” ভবিষ্যতে এই পরিবারগুলি যাতে ভালভাবে থাকতে পারে, তার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।এদিন জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সবসময় বাংলার মানুষের পাশে আছেন, তাদের সমস্ত সমস্যা মুখ্যমন্ত্রী ও আমাদের বনমুন্ত্রী জোতিপ্রিয় মল্লিক দেখছেন।আমি খবর আসা মাত্রই তার পরিবারের পাশে আছি। প্রসঙ্গত, প্রায় আট মাস আগে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে মাছের প্যাকেজিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গার বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক । সেখানেই মাছের বর্জ্য পদার্থের ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে রবিবার বিষাক্ত গ্যাসে অক্সিজেন না নিতে পেরে দমবন্ধ হয়ে মারা যান পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক । অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও চারজন। মৃত ও আহতরা প্রত্যেকেই দেগঙ্গা, হাড়োয়া এবং শাসন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে । সেই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারান মহম্মদ ওমর ফারুক, মহম্মদ সামিউল ইসলাম, নিজামুদ্দিন সাহাজি, সারাফাত আলি ও মিরাজুল ইসলাম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct