নিজস্ব প্রতিবেদক,কালিয়াচক,আপনজন: এতদিন অনেক জমি ছিল পরিত্যক্ত জমি। জমিতে জল জমে নষ্ট হতো চাষবাস। একটি মাত্র ক্যানেল গঙ্গার চরে ওই জমিতে করে তুলেছে চাষের যোগ্য। চাষিরা ফিরে পেয়েছেন চাষ করার শক্তি। জীবন নির্বাহের উপায়। খুশি রাজনগর চরের বাসিন্দারা। গঙ্গা নদীতে নৌকা করে চরে যেতে হয়। ১০০ দিনের কাজে ওই চরে একটি ক্যানেল তৈরি হয়েছে যা গঙ্গার নদীর ধারার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই পাল্টে গেছে ওই চরের চাষবাস ও পরিবেশ। ক্যানেলের জল থেকে যেমন চাষিরা তাঁদের চাষের প্রয়োজনীয় জল ব্যবহার করতে পারছেন, তেমনই সামান্য বৃষ্টিতে জমিতে জমে থাকা জল গিয়ে পড়ছে ওই ক্যানেলে। ফলে বছরের বেশির ভাগ সময় চরের আনুমানিক ৬০০ বিঘা জমি চাষিরা নিজেদের মতো ব্যবহার করতে পারছেন। এই ক্যানেল তৈরির ফলে একরকম আনন্দে চাষাবাদ করছেন চাষীরা। কালিয়াচক-২ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রাম মৌজার সৌজি বাগান চরের চাষিরা এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন। এতদিন অল্প বৃষ্টিতেই বহুদিন ধরে এই চরের বিঘার পর বিঘার জমি বিভিন্ন সময় বৃষ্টির জলে প্লাবিত থাকত। জল জমার ফলে ভোগান্তি যেমন ছিল, তেমনই কোনও ফসল চাষ করা সম্ভব হত না। মাঠেই পচন ধরে নষ্ট হয়ে যেত। গঙ্গার চরে প্রায় ৯০০ মিটার একটি লম্বা ক্যানেল তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট রাজনগর গ্রামপঞ্চায়েত। এই ক্যানেল তৈরির ফলে চরে জমির জল দ্রুত ক্যানেলের মাধ্যমে গঙ্গায় এসে পড়ছে। আবার গঙ্গার জলস্তর বেশি হলেই এই ক্যানেলই তখন ভরসা। দ্রুত জল নেমে যায়। এখন ভুট্টা, ধান, গম, সরষে, বিভিন্ন শাক-সবজি ফলতে শুরু করেছে। চরের চাষিদের বেশির ভাগ বাড়ি গঙ্গার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এক চাষি অসিত মণ্ডল, বলেন, ‘আমাদের এই ক্যানেল তৈরি করার ফলে জমা জল সহজেই বেরিয়ে যাচ্ছে এখন। আগে চাষবাদ অসম্ভব ছিল। আগামীতে যাতে প্রতি বছর এই ক্যানেল সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়, সেই আবেদন আমরা রাখছি।’ রাজনগর পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিনু সেখ বলেন, ‘চরের চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ছিলেন। বিস্তৃর্ণ চর এলাকার যা চাষের উপযোগী ছিল না এখন সেই জমিতে , নতুন করে চাষ করা সম্ভব হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct