আপনজন ডেস্ক: সেনেগালের রাজধানী ডাকারে আস্তউ মান্দিয়াং এবং তার পরিবারের বড় রূপার বাটিতে কোনো গোশত ছিল না। কারণ, এখানকার মুসলমিরা পবিত্র রমজান মাস উদযাপন করছে মুদ্রাস্ফীতির চরম প্রভাবের মাঝে। সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, পশ্চিম আফ্রিকায় খাদ্যের দাম গত পাঁচ বছরে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে। খরা এবং সঙ্ঘাত লাখ লাখ কৃষিজমিকে পতিত রেখে খাদ্য উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। একই সময়ে, মহামারি চলাকালে সীমান্ত বন্ধ থাকার ফলে সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ মুসলিম পরিবারের ওপর আরো বেশি চাপ বাড়াতে পারে যারা পরিবার, প্রতিবেশী এবং অভাবীদের জন্য খাদ্য ও পানীয় মজুত করে। ‘বাজারে খাবারের অভাব রয়েছে’, বিদ্যুত ছাড়াই একটি স্যাঁতসেঁতে রান্নাঘরে একটি সিদ্ধ মাছ এবং টমেটোর স্টু নাড়াতে নাড়াতে মান্দিয়াং বলেন। ‘দাম বেড়ে গেছে এবং আমরা কী রান্না করব তা না জেনেই বাড়ি ফিরে আসি’, বলেছেন ৬৪ বছর বয়সী, যিনি রাস্তার পাশে পোরিজ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সমুদ্রমুখী দেশে গোশতের চেয়ে সস্তা মাছ, একমাত্র যে প্রোটিন মান্দিয়াং ও তার পরিবারের জন্য চাহিদা পূরণ করতে পারে। রমজানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার আগে পেঁয়াজ মজুদ করার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ, যা অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবারের চাবিকাঠি। চালসহ সেনেগালের সব ঐতিহ্যবাহী খাবার বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার আঞ্চলিক প্রতিনিধি মামাদু ডিওপ বলেছেন, ‘আমরা বাহ্যিক সরবরাহের ওপর নির্ভর করি’। সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে প্রতিবেশী মালির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উল্লেখযোগ্য হারে সেনেগালে গরুর গোশতের দাম বাড়িয়েছে, কারণ মালিয়ান পশুসম্পদ আর সীমান্তের ওপারে বিক্রি করা যাবে না, তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। রমজানের সময় খাদ্য বিতরণকারী দাতব্য সংস্থাগুলো তাদের স্বাভাবিক অনুদানের জন্য তহবিল সঙ্কটে রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct