আপনজন ডেস্ক: গ্রীষ্মে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নানা সমস্যা দেখা দেয়। প্রচণ্ড গরমে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, দুর্বলতা ইত্যাদির আকারে দেখা দেয় হিট স্ট্রোক। এই সমস্যায় সঙ্গে সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিকার না নিলে মস্তিষ্ক তথা শরীরেরও নানা ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়। শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও সবারই সতর্ক থাকা জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ১০-১২ গ্লাস অথবা আড়াই থেকে তিন লিটার জল খান। শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকলে ঘাম হলেও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হবে না। সাধারণ জল খেতে না চাইলে তাতে সামান্য লেবুর রস, জিরা বা পুদিনাপাতা মিশিয়ে নিতে পারেন। জলের পরিবর্তে কফি বা কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়া ঠিক নয়। এই ধরনের পানীয় শরীরের কোনও উপকারই করে না। বরং এতে থাকা অতিরিক্ত চিনি থেকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।. লেটুস, শসা, তরমুজ, আনারস, কমলালেবু, মুসাম্বি এবং পুদিনা গরমের জন্য আদর্শ। এতে ক্যালরির পাশাপাশি সোডিয়ামের পরিমাণও কম থাকে। এছাড়াও এসব খাবারে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তৃষ্ণা মেটাতেও সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানেরও জোগান দেয়। ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট রাখুন। রিফাইন্ড খাবার বেশি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় যা হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও ডায়েটে রাখুন। নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ, টকদই, ডাল, স্প্রাউট, অলিভ অয়েল এবং বাদাম খেতে
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct