আপনজন ডেস্ক: এক মাস রোজা রাখার কারণে আমাদের দেহ ডিটক্সিফিকেশনের মধ্য দিয়ে যায় এবং পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু এই রমজান মাসে কোন খাবার কতটুকু খাবেন,কী কী খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত এই নিয়ে আমরা সবসময় চিন্তিত থাকি। যারা রোজা রাখছেন তাদের অবশ্যই ইফতার থেকে সাহরী পর্যন্ত দুই থেকে তিন লিটার জল পান করা উচিত। অনেকে মনে করতে পারেন, এই অল্প সময়ে জলের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে.কিন্তু এই জলের পরিমাণ ইফতার থেকে সাহরী পর্যন্ত ভাগ করে নিলে তা খুব সহজেই পান করা সম্ভব হয়। অনেকেই মনে করেন পেট ভরে খেলে হয়তো পরেরদিন ক্ষুধা কম লাগবে, ব্যাপারটা একেবারেই ঠিক নয়। বরং একবারে অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে পরেরদিন অস্বস্তি বোধ হয়। তাই সাহরীতে উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার(যেমন শাকসবজি,সিম,বিজ) ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে। ফাইবার জাতীয় খাবারগুলো পেটে বেশ অনেকক্ষণ ধরে থাকে বলে রোজা রাখার সময় ক্ষুধা কম অনুভব হয়। সাহরীতে মাছ, মাংস, ডাল এবং দই খাবারে রাখতে পারেন। যারা সাহরীতে খুব ভারী খাবার খেতে চান না তারা দুধ,কলা,চিড়া অথবা দই খেতে পারেন। এতে করে আপনি কয়েক ধরনের পুষ্টি উপাদান একসাথে পেয়ে যাবেন। সাহরীতে অনেকেরই চা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে সাহরীতে চা কফি না খাওয়াই ভালো কারণ চা-কফি ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ তৈরি করে। এতে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
ইফতারের শুরুটা করতে পারেন খেজুর দিয়ে, কারণ এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তাছাড়া খেজুরের রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনেরালস। ডাবের জল রাখতে পারেন ইফতারে। ডাবের জল শরীরের ইলেক্ট্রলাইট ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং শরীরকে জলশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। ইফতারে একটি সুষম খাবার প্লেট সাজানোর চেষ্টা করুন। সেক্ষেত্রে প্লেটে থাকবে রমজানের মিষ্টি (খেঁজুর), ফল, ১টি ভারী খাবার, সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি।ফল ও সবজিতে থাকা জটিল শর্করা পেট ভরপুর রাখবে। সেই সঙ্গে কোষ্টকাঠিন্য থেকেও রক্ষা করবে। অনেকেই ইফতারে ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করেন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। ইফতারে সিদ্ধ ছোলা সাথে আদা কুচি,পুদিনা পাতা কুচি, কিছুটা লেবু ,ধনেপাতা কুচি,টমেটো কুচি মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে আঁশ, প্রোটিন এবং খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct