সম্প্রীতি মোল্লা,কলকাতা,আপনজন: সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন একদিকে নাম না করে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানায় এনেছেন কুণাল ঘোষ। আবার বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও আক্রমণ করলেন কুণাল। নাম না করেই এদিন সল্টলেকের বিধায়ক-সাংসদদের বিশেষ আদালতে বীরভূমের জেলা সভাপতিকে একরকম কটাক্ষ করেন দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এর আগেও কুণাল বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডল কে নিয়ে এইরকম ঝাঁঝালো মন্তব্য করেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বগটুই কাণ্ডের পরও কুণাল জানিয়েছিলেন,- ‘অনুব্রত বড় নেতা, বেশি বোঝেন।’ আর সোমবার কুণাল ঘোষ বললেন, -‘উডবার্ন কয়েদিদের আশ্রয়খানা।’ গত ৬ এপ্রিল কলকাতায় এসে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন রাজনৈতিক মঞ্চে পিঞ্চ হিটার বক্তা অনুব্রত মন্ডল। গরু পাচার মামলায় সিবিআই হাজিরা এড়াতে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।কেউ গান পরিবেশন করেছেন আবার কেউ লিখেছেন কবিতা। এরই মধ্যে অনুব্রত-কে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একসময় জেলে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কুণাল ঘোষ।
এদিন সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন কুণাল ঘোষ। আদালত চত্বরে কুণাল বলেন, ‘আমার দাঁতের যন্ত্রণার চিকিৎসা করা হয়নি। অথচ অন্য প্রভাবশালীদের উডবার্নে চিকিত্সা হয়। উডবার্ন কি হাসপাতাল নাকি কয়েদিদের আশ্রয়খানা?’ শুধু অনুব্রত মন্ডল শুধু নন, বিভিন্ন সময়ে শাসক দলের অনেক নেতা কে দেখা গেছে এসএসকেএমের এই ওয়ার্ডে। নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রাও ওই ওয়ার্ডেই ভর্তি হয়েছিলেন। বিরোধীদের দাবি, -তদন্তকারীদের হেফাজত কিংবা জেল হেফাজত এড়াতে বারবার এসএসকেএমে আশ্রয় নেন তৃণমূল নেতারা’। এই ইস্যুতে সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে দলের মুখপাত্রের মুখে এই বার্তা সেই অস্বস্তি আরও বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য গত ৬ এপ্রিল থেকে এসএসকেএমেএ উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct