রাকিবুল ইসলাম,হরিহরপাড়া,আপনজন: নদীয়ার হাঁসখালির নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় এই মুহুর্তের তোলপাড় গোটা রাজ্য। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। নাবালিকাকে ধর্ষন ও তড়িঘড়ি মৃতদেহ দাহ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে এসেছে কোনো ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শশ্মশানে মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে। তবে শুধু হাঁসখালিই নয় এমন একাধিক শ্মশান রয়েছে মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে। যেখানে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়ায় মৃতদেহ দাহ করা হয়ে থাকে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে হরিহরপাড়া চোয়ার শ্মশানে সেই চিত্র নজরে পড়ে। স্বীকার করছেন শ্মশান কর্মীরাও। তারা বলেন, সাধারনত যারা গরীব মানুষ দেহ সৎকারে বহরমপুর যেতে পারেন না তারা এখানে দাহ করেন। তাতে কোনো আপত্তি নেই। শ্মশান কমিটির ছেলেরাও মৃতদেহ দাহ করার কাজে সহযোগিতা করে বলে জানান শ্মশানকর্মী কমিটির সদস্য অরুন বিশ্বাস। দূর দূরান্ত থেকেও দেহ নিয়ে এসে দাহ করা হয় এই শ্মশানে৷ কিন্তু যেসমস্ত মৃত্যু অস্বাভাবিক সেইসব দেহ দাহ করা হয় অবলীলায়। তার ফলে পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করে খুব একটা সুরাহা পায়না৷ এই সমস্ত শ্মশানগুলিতে কোনো ডাক্তারি ডেথ সাটিফিকেট অথবা কনো পঞ্চায়েত সদস্যের ক্যাজপত্রের দরকার হয়না বলে জানান শ্মশান কমিটির সদস্য তরুন বিশ্বাস। বৈধ কাগজপত্র নিয়েই মৃতদেহ দাহ করার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে শশ্মশামগুলিতে। তবে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান হরিহরপাড়া বিডিও রাজা ভৌমিক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct