আপনজন ডেস্ক: শ্রীলংকায় এখন পেট ভরে নয়, বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য কিনছেন নাগরিকরা। টাকার অভাবে বেশির ভাগেরই রাত কাটছে অনাহারে। কেউ আছেন অর্ধাহারে। সংকট ক্রমেই দুর্ভিক্ষরূপ ধারণ করছে। ধনী-দরিদ্র সবাই এক কাতারে। রেহায় পাচ্ছে না কেউই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাষ্পের মতো উড়ে যাচ্ছে অভিজাতের সঞ্চয়। আমদানির অভাবে এবং ক্রেতা হারিয়ে বেশ কিছু ব্যবসাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মুদ্রাস্ফিতির চাপে মধ্যভিত্তরা হচ্ছেন আরও গরিব, নিম্নবিত্তরা ফকির। বাজারে কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত ফল এবং কাঁচামালের জোগান দেখা যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের সামর্থ্য না থাকায় লোকসানে পড়ছেন দোকানিরাও। ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, সেলুন বন্ধ হওয়ার পথে। ঠিক যেন ২০০৭-৮ সালের জিম্বাবুয়ের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মতো। দেশটি তখন এতটাই করুণ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছিল যে, বস্তাভর্তি টাকা নিয়ে থলেভর্তি বাজার করা লাগত। অনিয়ন্ত্রিত নোট ছাপানোই জিম্বাবুয়ের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির প্রধান কারণ ছিল। শ্রীলংকায় তার ব্যতিক্রম। মহামারি অতি কঠোরতায় শ্রীলংকার পর্যটন খাত ধসে গেছে। তার ওপর মেগা প্রকল্প এবং বৈদেশিক ঋণের বোঝায় সংকটের তলানিতে নেমে গেছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। লংকার মুদ্রা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ‘অকেজো’ মুদ্রায় পরিণত হয়েছে। ডলারের বিপরীতে ৩০ শতাংশ কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। দৈনিক ১৩-১৬ ঘণ্টার রেকর্ড গড়েছে শহরের বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct