আপনজন ডেস্ক: তৃতীয়বারের মতো সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলেন বর্ষীয়ান নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। কেরলের কান্নুরে সিপিএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিন রবিবারে সীতারাম ইয়েচুরির কাঁধেই তুলে দেওয়া হল ফের এই গুরু দায়িত্ব। পাশাপাশি দলের ১৭ সদস্যের পলিটব্যুরো ও ৮৫ সদস্যের সেন্ট্রাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই প্রথম সিপিএমের পলিটব্যুরোতে স্থান পেলেন দলিত নেতা। সিপিএম বরাবরই দাবি করে আসছে যে তারা কোনও ধর্মীয় বিভাজন বা জাতি বৈষম্যের মধ্যে নেই। কিন্তু এতদিন পলিটব্যুরোতে কোনও দলিত নেতা স্থান পাননি। অবশেষে প্রথম দলিত হিসেবে পলিটবুরোতে স্থান করে নিলেন বাংলার রামচন্দ্র ডোম। কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন বাংলার তিন মুখ দেবলীনা হেমব্রম, শমীক লাহিড়ী এবং সুমিত দে। স্বভাবতই এই খবরে খুশির আমেজ বাংলার সিপিএমে। পলিটবুরো কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদের জন্য পার্টি বয়স ৭৫ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়ায় এবার অনেক নেতাই বাদ পড়েছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৮৫ করা হল। ৮৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৭ জন নতুন মুখ। তিন জন নয়া মুখ ঢুকতেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে মহিলা সদস্যের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। গোটা দেশে কেরল ছাড়া কোথাও ক্ষমতায় নেই বামেরা। তাই স্বভাবতই পার্টিতে এখন কেরল লবির আধিক্য থাকলেও বাংলা থেকে রামচন্দ্র ডোম পলিটবুরোতে জায়গা পাওয়ায় খুশি বঙ্গ সিপিএম। সাতবারের সাংসদ ছিলেন রামচন্দ্র ডোম। ১৯৮৯ সালে বীরভূম থেকে প্রথম সাংসদ হন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন সাংসদ। সেই বছর সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দল বহিষ্কার করায় বোলপুরে তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়। কেন্দ্র বদলেও জেতেন রামচন্দ্র ডোম। কিন্তু ২০১৪ সালে হেরে যান। রামচন্দ্র ডোমকে নিয়ে পলিটব্যুরোতে মোট তিনজন ডাক্তার। অন্য দুজন হলেন, মহরাষ্ট্রের অশোক দাভলে ও সূর্যকান্ত মিশ্র। দলিত পরিবারের সন্তান রামচন্দ্র ডোম কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসবিবিএস করেন। আর সূর্যকান্ত মিশ্র ওড়িশার কটকের শ্রী রামচন্দ্র ভাঁজা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct