সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে,ভাঙড়,আপনজন: কাশেফুল করুব খাঁনকে সভাপতি করার জন্য প্রথমে নির্দেশিকা পাঠায় উচ্চ শিক্ষা দফতর। দ্বায়িত্ব নেওয়ার আগেই পূরানো নির্দেশিকা বাতিল করে করা হয়েছে। নতুন নির্দেশিকায় কাইজার আহমেদকে সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ১ এপ্রিল শুক্রবার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তথা ভাঙড় ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কাইজার আহমেদ ভাঙড় মহাবিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দ্বায়িত্ব নিয়েই তিনি সরকারি প্রতিনিধি বাহারুল ইসলাম ও জাভেদ মিয়াঁদাদসহ অন্য সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। তবে কাইজারের নাম ঘোষণার আগে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ কাশেফুল করুবের নাম কেন ঘোষণা করা হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এটাকি পদ্ধতিগত ভুল নাকি এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে? তা অবশ্য জানা সম্ভব হয়নি আপনজন দৈনিকের পক্ষে।
তবে অনেকেই এর মধ্যে রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোন্দল খুঁজে পেয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর ভাঙড়ে শাসকদলের মধ্যে নানা গোষ্ঠী, উপগোষ্ঠী রয়েছে। তবে বর্তমানে মূল সক্রিয় দুটি গোষ্ঠী হচ্ছে আরাবুল ইসলাম ও রেজাউল করিম গোষ্ঠী। রেজাউল করিম ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর কাইজার ও কাশেফুল রেজাউল গোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যান।সভাপতি বিতর্কে কাইজার - কাশেফুলের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হল বলে মনে করছেন অনেকেই। এর ফলে রেজাউল গোষ্ঠীর মধ্যে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ঘটনায় আরাবুল অনুগামীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা গেছে। এবিষয়ে কাশেফুল করুব খাঁন বলেন, ‘ কেন এমন হল জানি না! আমি এখনও নির্দেশিকা বাতিলের কোনো কপি হাতে পাইনি।” কাইজার আহমেদ বলেন, “পদ্ধতি মেনেই সভাপতি পদে যোগদান করেছি।” সিপিএম নেতা তুষার ঘোষ বলেন, “ তৃণমূলে টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হচ্ছে!”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct