মহামেডান স্পোর্টিং-২ (আজহারউদ্দিন ১৬ মিঃ,নিকোলা ৪১ মিঃ)।
রাজস্থান এফসি-১ (ওমর ৬৯ মিঃ)।
মোস্তাফিজুর রহমান,কল্যাণী,আপনজন: থর মরুভূমি! যার অধিকাংশটাই অবস্থিত রাজস্থান রাজ্যে। সেই মরুভূমির রাজ্যকে হারিয়েই জীবন ধারনের জল খুঁজে পেলো আন্দ্রে চের্নিশভের প্রশিক্ষণাধীন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বুধবার পয়েন্ট খোয়ালেই শীর্ষস্থানের দখল হারাতো সাদাকালো ব্রিগেড। কেননা, আগের ম্যাচেই শ্রীনিধি’কে হারিয়ে লীগের সর্বোচ্চ স্থানে জায়গা করে নিয়েছিল গোকুলাম কেরালা। সুতরাং, জেতা ছাড়া কোনো রাস্তাই খোলা ছিল না মহামেডানের সামনে। তাই জয়ের লক্ষ্যে মরিয়া হয়েই একপ্রকার ঝাঁপিয়েছিল বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু, মরুভূমিতে জলের উৎস খুঁজে পাওয়া যেমন কঠিন,তেমনই রাজস্থান এফসির ডিফেন্স ভেঙ্গে গোলের সন্ধান পাওয়াও কঠিন। তবে সেই অসাধ্যই সাধন করে ফেললো ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। বুধবার বিকালে কল্যাণী মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখী হয়েছিল মহামেডান ও রাজস্থান। বলা হচ্ছিল ,এটাই লিগের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ম্যাচ। আর সেই লড়াইয়ে সসম্মানে উত্তীর্ণ মার্কাস, নিকোলা’রা। প্রথমার্ধের ১৬ মিনিটে পরপর তিনটে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের আক্রমনের ঢেউ আছড়ে পড়ে রাজস্থান বিপদসীমায়। প্রথম দু’বার সেই ঢেউকে বিপক্ষ গোলকিপার প্রতিহত করলেও, তৃতীয় প্রচেষ্টায় বল জালে জড়ান আজহারউদ্দিন মল্লিক (১-০)। এরপর প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে রাজস্থান ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় মহামেডানের স্কোর লাইন দ্বিগুন করেন অধিনায়ক নিকোলা স্টেজানোভিচ। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমনের ধারা বজায় রাখে সাদাকালো ব্রিগেড। কিন্তু,খেলার গতির বিরুদ্ধে ৬৯ মিনিটে মহামেডান বক্সের সামনে সেখ ফাইয়াজ ফাউল করলে,ইনডাইরেক্ট ফ্রিকিক থেকে স্কোর লাইনে (২-১) করেন রাজস্থানের বিদেশী খেলোয়াড় ওমর। এরপর মিনিটখানেক পরেই মার্কাসের শট রাজস্থান গোলকিপার ভাস্কর রায় আংশিক প্রতিহত করলে, তা গোলে ঠেলেন ফাইয়াজ।কিন্তু রেফারি তা বাতিল বলে ঘোষনা করেন। যদিও তার আগেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে শীর্ষস্থানের দখল নেয় মহামেডান!
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct