রাশিয়ানদের সক্ষমতা নেই গতানুগতিক যুদ্ধের মাধ্যমে সরাসরি বিজয় লাভ করা। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, শহর দখল করে সেটি আয়ত্তে রাখার মতো প্রয়োজনীয় পদাতিক সৈন্যদল রাশিয়ার নেই। পেন্টগনের অনুমান অনুসারে যুদ্ধের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি রাশিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে, যেটি গত ২০ বছরে আফগানিস্তান ও ইরাকে নিহত আমেরিকান সৈন্যদের চেয়েও বেশি। তাই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন এম এল ক্যাভানাফ। আজ প্রথম কিস্তি।
রাশিয়ানদের সক্ষমতা নেই গতানুগতিক যুদ্ধের মাধ্যমে সরাসরি বিজয় লাভ করা। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, শহর দখল করে সেটি আয়ত্তে রাখার মতো প্রয়োজনীয় পদাতিক সৈন্যদল রাশিয়ার নেই। রাসায়নিক, জীবাণু কিংবা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র—কোনো প্রকার বিধ্বংসী অস্ত্রই যথেষ্ট নয় ভ্লাদিমির পুতিন দুর্দশার মধ্যেই আছেন। পেন্টগনের এক কনজারভেটিভের অনুমান অনুসারে যুদ্ধের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি রাশিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে, যেটি গত ২০ বছরে আফগানিস্তান ও ইরাকে নিহত আমেরিকান সৈন্যদের চেয়েও বেশি। ন্যাটোর হিসাবমতে, সংখ্যাটা আরো বেশি—প্রায় ৪০ হাজার রাশিয়ান সৈন্য নিহত, আহত, নিরুদ্দেশ কিংবা বন্দি হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত আর্মি জেনারেল ডেভিড এইচ পেট্রোস বিষয়টি খুব সহজভাবে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে—রাশিয়ান ও ইউক্রেনিয়ানরা একপ্রকার চরম অচলাবস্হার মধ্যে আটকে আছে। ইরাক যুদ্ধের প্রথম দিকে পেট্রোস যখন মেজর জেনারেল হিসেবে সেখানে দায়িত্ব পালন করেন, তখন তার বিখ্যাত একটি বক্তব্য ছিল, ‘আমাকে বলুন কীভাবে এর সমাপ্তি ঘটবে।’ ইউক্রেন যুদ্ধে সেই একই প্রশ্ন যখন ঘুরেফিরে সামনে চলে আসে, তখন তার উত্তরও একে একে সামনে চলে আসছে।
রাশিয়ানদের সক্ষমতা নেই গতানুগতিক যুদ্ধের মাধ্যমে সরাসরি বিজয় লাভ করা। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, শহর দখল করে সেটি আয়ত্তে রাখার মতো প্রয়োজনীয় পদাতিক সৈন্যদল রাশিয়ার নেই। রাসায়নিক, জীবাণু কিংবা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র—কোনো প্রকার বিধ্বংসী অস্ত্রই যথেষ্ট নয়, রাশিয়া আরো সৈন্যবাহিনী নিযুক্ত করা ব্যতীত ইউক্রেনের ওপর কর্তৃত্ব আরোপ করতে সক্ষম নয়। এবং সেটি রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরো ভঙ্গুর করে দেবে। আবার ইউক্রেনের অপেক্ষাকৃত ছোট সৈন্যবাহিনী পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অস্ত্রশস্ত্রের জোগান পেলেও এবং এখন পর্যন্ত তারা অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তারাও এই ধ্বংসের যুদ্ধে জিততে পারবে না, যদি সেই যুদ্ধ বছরের পর বছর প্রলম্বিত হয়। কিন্তু আশার বিষয়টি নির্ভর করছে বাস্তবতার ওপর। বলা যেতে পারে, কূটনৈতিক শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে বাধ্য হচ্ছে।
যুদ্ধ অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্হিতির সৃষ্টি করে, কিন্তু অন্ততপক্ষে এটি যোদ্ধাদের কাছে নির্মম সত্যকে তুলে ধরে। প্রাথমিক অবস্হায় পক্ষগুলো যতই নিজ দলের শক্তিমত্তা আর বিপরীত পক্ষের দুর্বলতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ইচ্ছাকৃত মিথ্যার ফলগুধারা ছোটাক না কেন, যুদ্ধ সেই মিথ্যাকে ভাসিয়ে দেয়। এটি অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা জনমনকে প্রভাবিত করে। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে রাজনৈতিক নেতারা যেসব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এড়াতে পারতেন, তারা সেসব সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। ইউএস আর্মি ২০০৯ সালে এক ডজনেরও বেশি ইতিহাসবিদ নিযুক্ত করে, যাদের কাজ হলো আমেরিকা কীভাবে যুদ্ধ শেষ করবে সেটি পর্যালোচনা করা। আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধ থেকে শুরু করে যেদিন পর্যন্ত বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, সেই পর্যন্ত যতগুলো যুদ্ধ-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছে, সবগুলোর বিশ্লেষণই সেই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। সামরিক ইতিহাসবিদ রজার স্পিলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্যাটার্ন চিহ্নিত করে একটি প্রবন্ধে তা একত্রিত করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct