সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে,ভাঙড়,আপনজন: গেস্ট হাউস চালানোর নাম করে লোকালয়ে অবাধে চলত যৌনাচার। বুধবার রাতে হাতেনাতে ধরল স্থানীয়রা। ঘটনাটি ভাঙড় বিধানসভা এলাকার ব্যাঁওতা ২ নম্বর অঞ্চলের গাবতলা- বনমালিপুরের। স্থানীয়দের অভিযোগে শুধু প্রাপ্ত বয়স্ক যুগলরা নয়, অপ্রাপ্তবয়স্ক যুগলের আনাগোনাও চলতে থাকে দিনে রাতে। এমনকি বিদ্যালয় পড়ুয়া যুগলরাও আসে বলে তাদের অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, গ্রামের ভিতরে লোকালয়ে এসব হতে দেওয়া যাবেনা। গ্রামের বদনাম হচ্ছে। গ্রামের সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে। পুরোপুরি ভাবে গেস্ট হাউসে এরকম নোংরা কাজ বন্ধু করুক পুলিশ। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকদের কাছে অনৈতিক কাজের অভিযোগ করে আসছিলেন নিউটাউন সীমান্ত ঘেঁষা গাবতলা- বনমালিপুরের বাসিন্দারা। সেই অনুযায়ী বুধবার রাতে গ্রামে গিয়ে ওঁতপেতে বসে থাকেন দুই মুদ্রণ সাংবাদিক ও এক অনলাইন সাংবাদিক। যুগল গেস্ট হাউসে ঢুকতেই গ্রামবাসীরা খবর দেন সাংবাদিকদের। তিন সাংবাদিক খরিদ্দার সেজে গেস্ট হাউসে প্রবেশ করলে কর্তৃপক্ষ বৈধ তেমন কোনো নথি দেখাতে পারেননি।
পরে স্থানীয়রা গিয়ে রুম খুলতেই দেখা যায় এক যুগল অবৈধ কাজে লিপ্ত। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে যুগল জানায় দুইজনই বিবাহিত। তারা প্রায় ছমাস ধরে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে। তবে তাদের অদ্ভুদ দাবি, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি, তবে কেউ কাউকে বিয়ে করতে চাই না। খবর দেওয়া হয় কোলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায়। পুলিশ এসে যুগলকে থানায় নিয়ে যায়। যদিও তারা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় কোনো আইনী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। জিঙ্গাসাবাদের পর যুগলকে নিজ নিজ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয়দের দাবি মেনে আপাতত গেস্ট হাউস ষটি পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এলাকাবাসী চান পুরোপুরি বন্ধ হোক গেস্ট হাউসটি। নতুবা আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লা বলেন, “ এই ধরনের নোংরা কাজ গ্রামে চলতে দেওয়া যাবেনা। আমরা গ্রামবাসীরদের কথা অনুয়ায়ী পুলিশের কাছে দাবি জানাচ্ছি অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ হোক।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct