এহসানুল হক,বসিরহাট,আপনজন: বহু দুর থেকে গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদের মধ্যে কলসি কাঁকে করে গ্রামের মহিলাদের পানীয় জল আনতে যেতে হত। পাড়ায় পাড়ায় পানীয় জলের নলকূপ থাকলেও তা আর্সেনিক যুক্ত। সেই কারণেই পানীয় জলের জন্য মহিলাদের ছুটতে হত দূর-দূরান্তে। কেউ কেউ আবার দোকান থেকে চড়া দামে পানীয় জল কিনে খাচ্ছিলেন। এই সমস্ত সমস্যার কথা মাথায় রেখে সাধারণ মানুষদের পানীয় জলের কষ্টের অভাব দুর করতে মাটিয়া থানার অন্তর্গত বসিরহাট দুই নম্বর ব্লকের খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শ্রেনিক মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হলো। এমনটাই কথা শোনাচ্ছিলেন মনোয়ারা বিবি, মর্জিনা বিবি ,ইয়াকুব মোল্লা ,সোফিয়া বিবি, সিদ্ধার্ত রায় সহ এলাকার মানুষেরা ।খোলাপোতা পঞ্চায়েত প্রধান অপরেশ মুখার্জির উদ্যোগে খোলাপোতা পঞ্চায়েতে আঠারোটি সংসদের মধ্যে চোদ্দটি অত্যাধুনিক মানের আর্সেনিক বিহীন পানীয় জল প্রকল্প তৈরী করা হয়েছে। একটা আর্সেনিকমুক্ত জল প্রকল্প তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। কয়েক হাজার ফুট ভূগর্ভের নীচে থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প মেশিনের দ্বারা জল পাম্প করে উপরে তুলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জল পরীশুদ্ধ করে পান করার উপযোগী করে তোলা হয়েছে। সেই জল এখন গ্রামের বাসিন্দারা বিনামূল্যে সংগ্রহ করে পানীয় জলের চাহিদা মেটাচ্ছেন। এখন আর মহিলাদের দূর-দূরান্তে কলসি নিয়ে ছুটতে হয় না পানীয় জলের জন্য। এখন আর চড়া দামে পানীয় জলও কিনতে হয় না এলাকার বাসিন্দাদের। একেবারে বিনামূল্যেই বাড়ির কাছেই যেকোনো সময় পেয়ে যাচ্ছে এই পানীয় জল। এই পানীয় জল পেয়ে খুশি এলাকার মানুষেরা। আগামী দিনে এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি এই পানীয় জল প্রকল্প অর্থাৎ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিদ্যালয় বিদ্যালয় এই প্রকল্প করার পরিকল্পনা নিয়েছে খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অপরেশ মুখার্জি এমনি কথা বলেন তিনি। ইয়াকুব আলী মোল্লা, মর্জিনা বিবিরা বলেন, আমাদের এখানে জল আছে কিন্তু আর্সেনিক মুক্ত জল ছিলনা বহু দূর দূরান্ত থেকে এই জল নিয়ে আসতে হতো। এখন খোলাপোতা পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগে এই পানীয় জলের ব্যবস্থা করাই আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct