নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: দীর্ঘ দুই বছর ধরে চল্লিশ বার তথ্য জানার অধিকার আইনে বন্যা ত্রাণ বিলির তথ্য জানতে চেয়েও তা মেলেনি বলে অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে বিডিও অফিসের সামনে মঞ্চ গড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসলেন বাম-কংগ্ৰেস জোট।যতদিন না পর্যন্ত বিডিও তথ্য দিচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে জানালেন তারা। বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ ২০১৭ সালে বন্যাত্রাণ বিলিকে ঘিরে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।ব্লক কর্মী ও শাসক দলের নেতারা মিলে বন্যা ত্রানের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।তাদের নাম আড়াল করতেই তথ্য দিচ্ছে না বিডিও।হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকেও বন্যাত্রাণ বিলি ঘিরে দুর্নীতি হয়েছে।বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।এর থেকেও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বাম-কংগ্রেসের। হরিশ্চন্দ্রপুর বিধান সভার কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম জানান,২০১৭ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজ্য সরকার বরাদ্দ করে।
ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা,কারা কাত টাকা পেয়েছেন, ঠিকমতো ত্রাণ বিলি হয়েছে কি না তা তথ্য জানার অধিকার আইনে চল্লিশবার আরটিআই করা সত্ত্বেও বিডিও কোনো তথ্য দিচ্ছে না। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শেখ খলিল জানান,বিডিও শাসকদলের নেতাদের ভয়ে হয়তো তথ্য দিচ্ছে না।সব ব্লক তথ্য দিলেও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লক কেন দিবে না?হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের থেকে এখানে আরও বড় দুর্নীতি হয়েছে।তথ্য জানার পরেই আদালতে যাব। কিন্তু দু’বছর ধরে নিয়ম মেনে আবেদন করেও তা মেলেনি।তাই বাধ্য হয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে হয়েছে। বিডিও বিজয় গিরি জানান এই ব্লকে আসা তার মাত্র আট মাস হয়েছে।দীর্ঘ পাঁচ বছর আগের তথ্য জোগাড় করতে একটু সময় লাগছে। ২৯ মার্চ আরটিআই আবেদনকারীদের চিঠি করেছে।১৮ এপ্রিল তথ্য নেওয়ার জন্য তাদেরকে ব্লকে আসতে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা ধর্নায় বসে রয়েছেন।২০১৭ সালে ৪৩ হাজার উপভোক্তাকে বন্যা ত্রানের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।উপভোক্তাদের নাম, ঠিকানা ও ব্যাংক একাউন্ট শীঘ্রই দিয়ে দিবেন বলে জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct