সম্প্রীতি মোল্লা , কলকাতা, আপনজন: কর্মরত অবস্থায় কোন চাকরিজীবি মারা গেলে তাঁর পরিবারের পাশে মানবিক দৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর পরিবারের আবেদন অনুযায়ী পোষ্য চাকরি দিয়ে থাকে। পোষ্য চাকরি কখনোই অধিকার নয়।তবে আবেদন জানানোর সময়সীমা অতি দীর্ঘ থাকলে এবং পাশাপাশি চাকরির দাবিদারের আবেদনপত্র কোন প্রশ্ন থাকলে তা আইনগতভাবে বৈধ নয়।ঠিক এইরকমই এক মামলার রায়দান ঘটলো কলকাতা হাইকোর্টে।বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে আরতি সাহা নামে এক মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দিলো আদালত। প্রায় ২২ বছর সময়কালে একাধারে যেমন দীর্ঘ সময় কেটেছে আবেদনের নানা জটিলতায় । সেইসাথে মৃতের মেয়ে গত ২০০৫ সালে সাবালিকা হলেও তখন পোষ্য চাকরির আবেদন না জানিয়ে ২০১১ সালে করা হয়েছে। এইবিধ নানান কারণে কলকাতা হাইকোর্ট পোষ্য চাকরির আবেদন টি খারিজ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী সুদীপ্ত পান্ডা, সুব্রত ঘোষ,মুনমুন তেওয়ারি শুনানি পর্বে তাঁদের সওয়াল-জবাবে মৃতের পরিবারের প্রতি সরকারের সমস্ত বকেয়া পাওনাগণ্ডা বুঝিয়ে দেওয়ার তথ্য তুলে ধরেন। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ২০০০ সালে জানুয়ারি মাসে মুর্শিদাবাদের ছয়ঘড়ি কে আই সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক স্বাধীন প্রসাদ সাহা মারা যান।সেসময় তাঁর স্ত্রী আরতি সাহা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পোষ্য চাকরির আবেদন জানান।টানা চারবার ইন্টারভিউতে ডাক পেলেও অকৃতকার্য হন আরতি সাহা। ২০০৫ সালে এই পরিবারের নাবালিকা মেয়ে সাবালিকা হলেও তখন পোষ্য চাকরির জন্য আবেদন করেননি বলে প্রকাশ। তবে ২০১১ সালে পোষ্য চাকরির দাবিদার হিসাবে আরতি সাহা তাঁর মেয়ে কে আবেদনে জানান। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা পোষ্য চাকরির এই আবেদন টি খারিজ করে দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct