আদালত প্রতিবেদক,কলকাতা,আপনজন: মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এর এজলাসে ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলার খুন এর মামলা উঠে। এদিনঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলায় কেস ডাইরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় শুরুতে এফআইআর নেওয়া হয়নি। তাই প্রাথমিকভাবে ঝালদা পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পাশাপাশি এতদূর পর্যন্ত কি তদন্ত হয়েছে? তা জানতে কেস ডাইরিও তলব করা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী শুক্রবার তপন কান্দু হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে । এর পাশাপাশি, মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর যখন মৃত্যু হয়, তারপর অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন তপন কান্দুর স্ত্রী। অভিযোগ রয়েছে, সেই সময় পুলিশের তরফে এফআইআর নেওয়াই হয়নি। কীভাবে এফআইআর ছাড়া এই মৃত্যুর তদন্ত চলছে, তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট ।ঝালদার কংগ্রেসর কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর শুরু থেকেই পুলিশের দিকে আঙুল তুলে আসছিলেন মৃত তপন কান্দুর স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল সরাসরি ঝালদা থানার তৎকালীন আইসির বিরুদ্ধে। জেলার পুলিশ সুপারকে পাঠানো চিঠিতেও তপন কান্দুর মৃত্যুতে ঝালদা থানার তৎকালীন আইসির জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় পুলিশের যে গাফিলতি ছিল, তা পরবর্তী সময়ে পুলিশের ব্যবস্থা গ্রহণ দেখে বোঝা যায় ।খুনের দিন টহলকারী এক সাব ইনস্পেকটর সহ মোট পাঁচ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা পুলিশ তবে স্বামী হারা পূর্ণিমা কান্দুর দাবি,শুধু পাঁচজনকে ক্লোজ করলেই হবে না। আইসিকে গ্রেফতার করতে হবে।
সিবিআই তদন্ত চায়। তা না হলে সঠিক তদন্ত হবে না’।খুনের বিষয়টিতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখানোর একটি চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। কংগ্রেসের অভিযোগ, - ‘শাসক দলের লোকেরাই খুন করেছে’। উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভার মোট ১২ টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে ৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে তৃণমূলের দখলে এবং অন্য ৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। বাকি ২ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী।তাই বোর্ড গঠন নিয়ে চাপানউতোর চলছিল তখন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct