আপনজন ডেস্ক: অবশেষে শনিবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্ত কমিটির কাছ থেকে তদন্তভার হাতে নিল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই বগটুই গ্রামে তাদের বিভিন্ন দল তদন্ত শুরু করেছে। নমুনা সংগ্রহের কাজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে সিবিআই। চলছে থ্রি-ডি স্ক্যান। এই থ্রি-ডি স্ক্যানারকে কাজে লাগিয়ে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে সিবিআই। তদন্তে নেমে অনুসন্ধান করছে দুষ্কৃতীরা কীভাবে ও কোন পথে আগুন ধরানোর কাজে লিপ্ত হয়েছিল। সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল জানার চেষ্টা করেছ, বাড়ির মদ্যে গিযে আগুন ধরানো হয় না বাইরে থেকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ঘরানো হয়। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির আধিকারিক আমিত যোশী। তার নির্দেশে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির ভিডিওগ্রাফি করা হয়। থ্রি-ডি স্ক্যান প্রযুক্তির আগুন ধরানোর প্রকৃতি জানার চেষ্টা চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নথি সংগ্রহ করে তা আদালতে জমা দেওয়ার প্রস্তৃতি চলছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে।
শুধু নথি বা ফরেন্সিক আধিকারিকদের তথ্য সংগ্রহ নয়, বগটুইয়ে ভাদু সেখের হত্যা থেকে শুরু করে আগুন লাগার ঘটনা সব প্রসঙ্গে পুলিশের কোনও ভূমিকা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ নিয়ে স্থানীয় থানা থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও তারা কথা বলছেন। এমনকী আগুন লাগার পর দমকলের যে সব কর্মীরা আগুন নেভাতে ব্যস্ত ছিলেন তাদের তালিকা সংগ্রহ করে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবে সিবিআই। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সিবিআই আধিকারিক ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবেরেটরি বা সিএফএসএল বিশেষজ্ঞরা সোনা শেখের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। বগটুই হত্যাকাণ্ডে মোট ১০ টি ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, আগুন লাগানো, হিংসা ছড়ানো সহ মোট ১০টি ধারায় ২১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct