আজিম সেখ,রামপুরহাট,আপনজন: সোমবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু খুন হওয়ার পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বগটুই গ্রাম। এই হত্যার পরই পশ্চিমপাড়ার একাধিক বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর তার জেরে ৮ জন বাড়ির মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়েই মারা যান। এই হত্যা ও পরবর্তীতের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনা উসকে দিচ্ছে বাম জমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ছোট আঙারিয়ার ঘটনা। সেখানে অবশ্যরাজনেতিক সংঘর্ষের জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছি। তবে, বগটুই গ্রামরে ঘটনা নিয়ে শাসক ও বিরোধ দলের মধ্যে চাপান উতোর চলছে। তৃণমূলের দাবি এটি রাজনৈতিক কারণে নয়, ব্যক্তি বিবাদের জন্য। কিন্তু শাসক দল তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পর গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে যে এতগুলো প্রাণ গেল তা মানতে চাইছে না। তবে, বলতে দ্বিধা নেই, তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে এই ধরনের হত্যা পাল্টা হত্যার ঘটনা এই প্রথম। অনুব্রতর গড় বলে পরিচিত বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব থাকলেও কেউ অনুব্রতর কতার বাইরে যেতে চান না। সেই অনুব্রতই আগাম বলে দিরেন যাদের বাড়িতে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তা ঘটেছে শর্ট সার্কিটের গণ্ডগোলের ফলে। অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট–সার্কিট তত্ত্ব খারিজ করে দিল সিট। একইসঙ্গে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, আগুন লাগানো হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে সিটের তরফে। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শনের পর সিটের আধিকারিক সঞ্জয় সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। তবে কারা আগুন লাগিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছে। রামপুরহাটের ওসি এই ঘটনা নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। তারা এই ঘটনাকে ঢাল করে রাজ্যে জরুরি শাসন দাবি করেছেন। অতি তৎপরতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সরকারের কাছে পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন। যদিও দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct