আপনজন ডেস্ক: হোলিকে কেন্দ্র করে ধর্মস্থানে রং মাখিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টার পর এবার খ্রিস্টান ধর্মযাজককে হত্যা শোরগোল ফেলে দিল। ছত্তীশগড়ের বিজাপুরে ৫০ বছর বয়সী এক খ্রিষ্টান যাজককে নির্মমভাবে ছুরি মেরে হত্যার করার ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটলেও এখন সেই ঘটনাটি সামনে এসেছে। জানা গেছে, বিজাপুরের আঙ্গামপল্লী গ্রামে ইয়ালাম শঙ্কর নামে ওই ধর্ম যাজককে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য প্রথমে হুমকি দেওয়া হয়। তারপর পাঁচজন ‘হিন্দুত্ববাদী’ দুষ্কৃতী রাতে ওই যাজকের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে এনে ছুরি দিয়ে লাাগাতার আঘাত করলে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান কনসার্ন (আইসিসি) জানিয়েছে, যাজক ইয়ালাম শঙ্কর আঙ্গামপল্লির বিসিএম (বস্তার ফর ক্রাইস্ট মুভমেন্ট) চার্চের সিনিয়র যাজক ছিলেন। তিনি গ্রামের প্রাক্তন সরপঞ্চ এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের কাছে খ্রিস্টানদের সুরক্ষা করার জন্য পরিচিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক খ্রিস্টান আইসিসিকে বলেন, ‘এই এলাকার খ্রিস্টানরা উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে। বেশ কয়েকবার যাজক শঙ্কর খ্রিস্টানদের উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ও রাজনীতিবিদদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে সংখ্যালঘুরা তীব্র নিপীড়নের শিকার হচ্ছিল। কিন্তু এবার নিজেই তাদের হাতে মৃত্যুর শিকার হলেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আইসিসি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রয়েছে। এই ঘটনা তা ক্ষুণ্ণ করেছে। তিনি তার স্ত্রী দুই ছেলে ও নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। এর আগেও আদিবাসীদের ধর্মান্তর করার অভিযোগে গির্জায় আাক্রমণের ঘটনা ঘটলে এভাবে বাড়ি থেকে বের করে এনে নির্মমভাবে যাজক হত্যার ঘটনা ঘটেনি বলেই খ্রিস্টান মহলের মত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct