সঞ্জীব মল্লিক,বাঁকুড়া,আপনজন: শুশুনিয়া পাহাড়ের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে এখনো জ্বলছে আগুন দাবি স্থানীয়দের, পরিবেশ নিয়ে চিন্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা। শুশুনিয়া পাহাড়ে ঝরা পাতায় লেগে যাওয়া আগুন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রাতভর বন কর্মীরা পাহাড়ের উপরে ব্লোয়ার দিয়ে ঝরা পাতার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। তারপরও আজ সকালে পাহড়ের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত আকারে আগুন জ্বলছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
ফি বছর শুশুনিয়া পাহাড়ে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই পাহাড়ের পরিবেশ নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন, বন দফতর থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঁকুড়া জেলার অন্যতম বড় পাহাড় শুশুনিয়া। সবুজে ঢাকা এই পাহাড় দেখতে বহু পর্যটক আসেন এই পাহাড়ে। পাহড়ের জীব বৈচিত্র যথেষ্ট সমৃদ্ধ। নাম জানা ও অজানা লক্ষ লক্ষ গাছ গাছালির পাশাপাশি বিভিন্ন শাখাচারী, সরিসৃপ, বন্য প্রানী ও কীটপতঙ্গের বাস এই সুবিশাল পাহাড়। কিন্তু ফি বছর বসন্তের শুরুতেই এই পাহাড়ের ঝরা পাতায় জ্বলে উঠছে আগুন। প্রাথমিকভাবে বন দফতরের ধারনা এই আগুন প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট আগুন নয়। সচেতনতার অভাবে অসাবধানতা বশত পর্যটকরা পাহাড়ের জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে ফেলতে পারেন। কিছু অসাধু মানুষ নির্দিষ্ট কোনো উদ্যেশ্যেও এই আগুন লাগিয়ে থাকতে পারেন। স্থানীয়দের ধারনা এইভাবে প্রতি বছর অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে পাহাড়ের বিভিন্ন গাছ গাছালি ছাড়াও জীবজন্তু ও সরিসৃপের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ভারসাম্য হারাবে পাহাড়ের প্রকৃতি । পাহাড়ের এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। এলাকার মানুষ চাইছেন যে কোনো মূল্যে বন্ধ হোক এই আগুন লাগানোর প্রবণতা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct