আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেনের মারিউপোল সিটি কাউন্সিল বলেছে, প্রায় ৪০০ মানুষ একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কর্মকর্তারা বলছেন, ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। ওদিকে, মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেইনে দ্বিতীয় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার নতুন কিনজল ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইউক্রেইনের জ্বালানি বড় ধরনের একটি মজুদ ধ্বংস হয়েছে। মিকোলায়েভ অঞ্চলে কোস্টিয়ান্তিনিভকার কাছে ওই স্থাপনা অবস্থিত।তবে বিবিসি নিরপেক্ষ সূত্রে এখবর যাচাই করতে পারেনি। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, কিনজল ক্ষেপণাস্ত্র ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি বেগে উড়ে গিয়ে ২০০০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘাত হানেতে পারে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দক্ষিণের মারিউপোল বন্দরনগরীতে রাশিয়ার হামলা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেও মানুষ ভুলতে পারবে না। নগরীর কেন্দ্রস্থলে এখন তুমুল লড়াই চলছে এবং রাশিয়া সেখানে যুদ্ধাপরাধ করছে বলে জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন। মারিউপোলে ৪শ’ মানুষের আশ্রয়স্থল স্কুল ভবনে হামলা চালিয়ে রাশিয়া সর্বশেষ আরেকটি বেসামরিক ভবনকে হামলার নিশানা করল। এর আগে বুধবার রাশিয়া নগরীর কেন্দ্রস্থলে একটি নাট্যশালায় বোমা ফেলেছিল। নাট্যশালাটি সাধারণ মানুষের আশ্রয়স্থল হওয়ার পরও রাশিয়া সেখানে বোমা ফেলে। যদিও রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু মারিউপোল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আশেপাশের সমস্তকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। অ্যাপার্টমেন্ট, হাসপাতাল, গির্জা সব কিছুই গোলায় ধ্বংস হয়েছে। মারিউপোলের সঙ্গে যোগাযোগও কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে দেখাটাও কঠিন হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct