রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: ঐতিহ্যবাহী মুর্শিদাবাদের নিমতিতা রাজবাড়ি সরকারিভাবে সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র করে তোলার উদ্দেশ্যে নিমতিতা রাজবাড়ি পরিদর্শন করলেন পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের এক প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ নিমতিতা রাজবাড়ী চত্ত্বর পরিদর্শন করেন হেরিটেজ কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। ছিলেন হেরিটেজ কমিশনের ওএসডি ড. বাসুদেব মালিক। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জুলফিকার আলী সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। এদিন রাজবাড়ী চত্ত্বর ঘুরে দেখার পাশাপাশি আগামীদিনে রাজবাড়ীকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন হেরিটেজ কমিশনের সদস্যরা।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৮৫৫ সালে গৌরসুন্দর চৌধুরী ও দ্বারকানাথ চৌধুরী দুই ভাই মিলে নিমতিতার রাজবাড়ি করেন। শুরু হয় জমিদারি। জমিদাররা প্রজাদের উপর তাদের শাসনকার্য চালাতেন এই বাড়ি থেকেই। তাই জমিদারদের এই বাড়িগুলো প্রজাদের কাছে অর্থাৎ সাধারণ মানুষের কাছে জমিদার বাড়ি নামেই পরিচিতি লাভ করেছে। নিমতিতা রাজবাড়ীটি দালানের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের সুন্দর সুন্দর নকশা করে তৈরি হয়েছে। ইতালিয়ান ধাচে এই বাড়িটিতে রয়েছে পাঁচটি উঠোন এবং দেড়শো কক্ষ।তৎকালীন সময়ে এই রাজবাড়িতে বিভিন্ন সময়ে বিখ্যাত মানুষের আগমন ঘটেছে। নিমতিতা রাজবাড়িতেই ‘জলসাঘর’ সিনেমার শুটিং করা হয়। পাশাপাশি ১৯৫৯ সালে ‘দেবী’ এবং ১৯৬০ তিনকন্যা ‘সমাপ্তি’। সত্যজিতের রায়ের এই তিনটি সিনেমার ফ্রেমে ফ্রেমে বেঁচে রয়েছে নিমতিতা রাজবাড়ির জৌলুস। ডা. বাসুদেব মালিক জানান, নিমতিতা রাজবাড়ীকে হেরিটেজ করতেই আমাদের এই পরিদর্শন। সমস্ত পরিকাঠামো খুব ভালো রয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র দেখে রিপোর্ট জমা করব। খুব সুন্দর পরিবেশ রয়েছে রাজবাড়ীর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct