নিজস্ব প্রতিবেদক,মোথাবাড়ি,আপনজন: রাজ্যের শাসক দল বারে বারেই উন্নয়ন হাতিয়ার করে বিরোধীদের মুখের উপর জবাব দিতে চেয়েছে। তবেম, শাসক দল পরিচালিত একটি গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়নের ছোঁয়া ও পরিবর্তনের পথে হাঁটছে েবলে দাবি করে চলেছ্ সেটি হল কালিয়াচক-২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের মেঘুটোলা গ্রাম। মালদা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূর । প্রত্যন্ত গ্রাম বলতে যা বোঝায়, এক দশক আগেও তা ছিল। অনেক কিছু বেহাল ছিল। এখন রাস্তাঘাট থেকে বিদ্যুৎ, বাড়িঘর থেকে পানীয় জল, শিক্ষা- প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের ছোঁয়া । বছর দশেক আগেও গ্রামে চাকরিজীবী বলতে হাতে গোনা। মাত্র ৩/৫ জন। পড়াশোনা ঘরে ঘরে ছিল না। সন্ধ্যা হলেই কুপির আলো নিভিয়ে ঘুমিয়ে যেতেন। সকালে ওঠে নিত্যদিনের কাজ কেউ গুড়ের চিট্টা বিক্রি কেউ বা পালকি বাহক বা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন এসব বিলুপ্তি ঘটেছে। গ্রাম শিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন এই গ্রামে প্রায় ৪০ জন চাকুরী করেন। ডাক্তারি পড়ছেন এখানকার এক পিছিয়ে পড়া ছাত্র। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর হয়েছেন। শিক্ষক-সহ অন্যান্য সরকারি ক্ষেত্রে চাকরি করছেন তাঁরা। দিনকে দিন শিক্ষিত হয়ে উঠছে এখানকার কিশোর-কিশোরীরা। শিক্ষিতদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ও নজর কাড়ছে। ভিন রাজ্যের কাজ থেকে একরকম মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন পুরুষেরা। গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবার। সংশ্লিষ্ট ব্লকের পিছিয়ে পড়া গরিব গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এই গ্রাম। অধিকাংশ বাসিন্দা ছিলেন খেতমজুর। পাশাপাশি নির্মাণ শ্রমিক, পালকি ডুলি বাহকের কাজ করতেন। গ্রামের ভাঙাচোরা কাচা রাস্তা, জরাজীর্ণ দশা গ্রামের। সেই গ্রামে এখন অনেকটাই এগিয়ে চলেছে। গ্রাম পিচের রাস্তা হয়েছে। গ্রামবাসী সুকুমার মাহারা, অজিত মন্ডল, পার্থ মণ্ডলরা বলেন, ‘ এখন গ্রাম পরিবর্তন এসেছে। অনেক ঘরবাড়ি পাকা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাড়ি বাড়ি শিক্ষা ঢুকেছে। শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হচ্ছে গ্রাম। একসময় বলতে গেলে কাজকর্ম ছিল না গ্রামে। এখন মেরুদণ্ড সোজা সচেতন মানুষ। ঘুরে দাঁড়িয়েছে আমাদের গ্রাম। এখন ঘরে ঘরে ছাত্র ছাত্রী পড়ছে। আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট ’। পঞ্চানন্দপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লতিকা মণ্ডল বলেন, ‘“এখন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন এবং উপকৃত হচ্ছেন কৃষক, ছাত্র ছাত্রী গ্রামের মানুষ।” প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শুধাংশু ভূষন মন্ডল বলেন, উন্নত হচ্ছে গ্রাম। গর্ববোধ করি। আরো এগিয়ে যাবে আশাবাদী। এই গ্রামের ঝালমুড়ি ফেরিওয়ালার ছেলে হাইস্কুলে চাকরি করছে। সাধারণ আশাকর্মীর ছেলে ডাক্তারি পড়ছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ২০ জনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি হয়েছে। একসময় পালকি বহন, গুড় চিনির চিট্টা বিক্রি করতে সেই কাজ বিলূপ্তি ঘটেছে। এই গ্রাম এখন গর্ব করার মতো। পরিবর্তন ঘটেছে দ্রুত। অন্যান্যদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ চাই, মন্ডল, মাহারা রয়েছেন কালিয়াচক-২ ব্লকের বিডিও রমল সিংহ বিরদি বলেন, ‘এখন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধে পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। ১০০ দিনের কাজ থেকে বাংলা আবাস যোজনা, কন্যাশ্রী, বার্ধক্যভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এসব বিভিন্ন প্রকল্পে গ্রামের আর্থ সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ছাত্রীদের জন্য সুযোগ সুবিধা হয়েছে। মানুষের সামগ্রীক উন্নয়নের ছবি একরকম ফুটে উঠছে গ্রামে গ্রামে। মেঘুটোলা গ্রাম ও তাই পরিবর্তন হচ্ছে। স্বভাবতই বহু গ্রাম এখন সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটছে। প্রশাসন অভাব অভিযোগ পাশে রয়েছে উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট রয়েছে। ’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct