মোল্লা মুয়াজ ইসলাম,বর্ধমান,আপনজন: রাজ্যের সেরা প্রকল্প স্বাস্থ সাথী প্রকল্প। সারা বিশ্বের কাছে এটা একটা নজির। এই প্রকল্প কে বাস্তবায়িত করতে বেসরকারি নার্সিংহোমের একটা বড় ভূমিকা আছে কিন্তু কিছু অসাধু নার্সিংহোম ও ব্যক্তি এই প্রকল্পটি কে সোনার ডিম পাড়া হাঁসের মত নস্ট করে দিচ্ছে। ঐ সব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বড় বড় পদ হোল্ড করে বসে আছেন । স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার না করিও টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় বর্ধমানের খোশ বাগানে একটি নার্সিংহোমে সোমবার সন্ধ্যায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেই নাসিংহোম থেকে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
কাটোয়ার গাফুলিয়া গ্রামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উপভোক্তাদের অগোচরেই চিকিৎসা বাবদ হাজার হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ গ্রামের সালেহা বিবি নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে। টাকা ফেরতের দাবিতে গ্রামবাসীরা তার বাড়িতে আজ চড়াও হয় বলে জানা যায়।ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়।কাটোয়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে গ্রাম থেকে অভিযুক্ত সালেহা বিবিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বর্ধমানের খোস বাগানে এক নার্সিংহোমে তার জামাই নুরুল মুন্সী কাজ করে। গাঁফুলিয়া গ্রামের গরীব খেটে খাওয়া পরিবারের লোকদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বর্ধমানের এই নার্সিংহোমে নিয়ে যেত সালেহা বিবি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হোল্ডার দশ হাজার পাবেন আর দুহাজার নেবে সালেহা বিবি। এভাবেই বর্ধমানের নার্সিংহোমে গ্রামের ২৫-৩০ জনকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা না করিয়ে শুধু বায়োমেট্রিক করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে জানতে পারেন তাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে চিকিৎসা বাবদ খরচ হিসেবে ৬০-৭৫ হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হয়েছ। নার্সিংহোমের মালিক ডাঃ আবীর গুহ বলেন, অভিযোগ শুনেছি। নুরুল মুন্সী নার্সিংহোমের কর্মী। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে দোষীরা শাস্তি পাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct