সেক আনোয়ার হোসেন,নন্দীগ্রাম,আপনজন: ২০০৭ সাল ১৪ মার্চ সেদিন রক্তাক্ত হয়েছিল নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের এই অধ্যায় আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার রাজনীতির সঙ্গে। জড়িয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উত্থানেও। এমনকী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কেরিয়ারের সূচনা নন্দীগ্রামে লড়াইয়ের মধ্যে। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছিলেন কুণাল।
সোমবার নন্দীগ্রামে নন্দীগ্রাম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে কুনাল ঘোষ বলেন, “বাংলার মাটিতে বিজেপি যেখানে যতটুকু আছে উত্খাত করতে হবে। বিজেপি থাকবে না।” শুভেন্দু অধিকারীকে বিলুপ্ত ডায়নোসরের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে শুধুই ছবিতেই পাওয়া যাবে”। এদিন ভাঙাবেড়াতে কৃষক দিবস উদযাপন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, দোলা রায়রা। সেই সভায় বেইমান, গদ্দার, মীরজাফর, রাজনৈতিক বেজন্মা প্রভৃতি বিশেষণে শুভেন্দুকে অভিহিত করেন কুণাল। কুনাল বলেন, ‘নারদা, সারদা মামলায় নাম রয়েছে শুভেন্দুর। তাই সিবিআই-ইডির হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির জুতো পালিশ করছে। খোল-করতাল বাজিয়ে হঠাত্ হিন্দু সেজেছে। মুসলিমদের প্রতি বিষোদগার করেছে। জেহাদি, পাকিস্তানি, লুঙ্গিবাহিনী তকমা দিয়েছে। ওই হঠাৎ হিন্দুর কোনও অধিকার নেই পবিত্র শহিদ বেদী স্পর্শ করার। নন্দীগ্রামে হিন্দুদের পাশাপাশি বহু মুসলিমও প্রাণ দিয়েছেন। তাই ওই গদ্দারের মালা দিতে এলে প্রতিরোধ করুন।’ দোলা সেন শহিদ পরিবারদের মঞ্চে তুলে নেন। তিনি বলেন, যতদিন সজ্ঞানে থাকব ততদিন নন্দীগ্রামের পাশে থাকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা আশিস চক্রবর্তী, সঞ্জয় বক্সি, অশোক দাস, আবু সুফিয়ান, আবু তাহের, ফিরোজা বিবি, তুষার কান্তি মণ্ডল, শিবনাথ সরকার,তুষার মাইতি, আজিজুল রহমান, আঞ্জুমা বিবি সহ অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct