জয়প্রকাশ কুইরি,পুরুলিয়া,আপনজন: একটি মৃত্যু এবং তাই নিয়ে রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চ এখন ঝালদায়। পুরুলিয়া জেলার ঝালদা পুরসভা এখন একদিকে যেমন উত্তাল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কগ্রেসের টানা পড়নে অন্যদিকে তেমনই মৃত্যু ঘীরে চলছে দোষ চাপানউতোর। দফায় দফায় রং বদলেছে ঘটনার। এই মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে কংগ্রেস। রবিবার বিকেলে পথচারণের মধ্য দিয়ে মোটর সাইকেল আরোহী তিন জন দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হন ঝালদা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সদ্য জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পরপর চারবারের জয়ী এই কাউন্সিলর একসময় কংগ্রেসের পক্ষে ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধানও হয়েছিলেন। জনপ্রিয় এই নেতারা মৃত্যু ঘিরে রহস্যর বাঁধে সেদিনই। কংগ্রেস দাবী করে পুরবোর্ড গঠনের স্বার্থেই তৃণমূল তাদের কাউন্সিলর কে খুন করেছে যদিও এমন দাবী উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ঝালদা পুরসভায় মোট ১২ টি আসনের মধ্যে এবার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস পায় পাঁচটি করে আসন নির্দলরা পায় দুটি আসন। ফল ঘোষণার পরেই একজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন ফলে এখন সমীকরণ তৃণমূল ছয় ,কংগ্রেস পাঁচ ,নির্দল এক। এই পরিস্তিতিতে হঠাৎ একজন গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ায় কংগ্রেসের সদস্য হলো চার। তবে এখানেই প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস দলের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাত বলেছেন আমরা তপন কান্দু কেই পুরপ্রধান প্রার্থী করতাম এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক খুন। একই কথা বলেছেন তার স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুও। সোমবার ঝালদায় আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি আসার পরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তারও অভিযোগ বোর্ড গঠনের জন্যই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজিত কংগ্রেস কর্মীরা কাউন্সিলারের মৃতদেহ নিয়ে স্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথে ঝালদা পুরনো থানার কাছে চরম বিশৃংখলা তৈরী হয়।এদিনই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তবে গোটা ঘটনা ঘীরে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ঝালদায় তা ইতি পূর্বে আর কখনো দেখা যায় নি। পুলিশ জানিয়েছে মঙ্গলবার বনধের সময় যাতে কোনরকম উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct