আপনজন ডেস্ক: করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি শিথিলের পর মুসল্লিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ। পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশে অনলাইন অনুমোদন ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয় সৌদির হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববি চত্বরে জুমার নামাজে মুসল্লিদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। গতকাল শুক্রবার পবিত্র মসজিদুল হারামে জুমার নামাজ পড়িয়েছেন শায়খ ড. আবদুল্লাহ আল জুহানি এবং মসজিদে নববিতে নামাজ পড়িয়েছেন শায়খ ড. সালাহ আল বুদাইর। এক টুইট বার্তায় হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনাবিধি শিথিলের পর প্রথম বারের মতো মসজিদুল হারামে ১০ লাখেল মতো মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, টিকা না নিয়েও সৌদির প্রবাসী ও স্থানীয়রা পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে। তবে তাদের করোনা নেগেটিভ থাকতে হবে। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে না থাকতে হবে। গত ৫ মার্চ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধানসহ করোনাবিধি শিথিলের কথা জানায় সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাকালের দীর্ঘ ৩০ মাস পর সাত বছর বা এর বেশি বয়সী শিশুদের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদসহ সব মসজিদে সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে মুসল্লিদের মসজিদে মাস্ক পরে থাকতে হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত বা আবদ্ধ স্থান, ইভেন্ট ও অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উন্মুক্ত স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না হলেও আবদ্ধ স্থানে মাস্ক পরতে হবে। বাইরের দেশ থেকে সৌদি আরবে আসার আগে পিসিআরে কভিড টেস্টও এখন আর আবশ্যক নয়। তবে ভিজিট আসার ক্ষেত্রে হেলথ ইনস্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক। যেন কভিডে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটানো যায়। সৌদিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম বহাল থাকছে না। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্বসহ সব ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরাসহ করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করে সৌদি আরব। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct