দেবাশীষ পাল,মালদা,আপনজন: এনআরজিএস প্রকল্পের বিল পাশ হতে বিলম্ব। সেই বিলম্ব থেকে সৃষ্টি ঝামেলার। তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে তথা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠল এক পঞ্চায়েত আধিকারিককে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই আধিকারিক এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। চাঞ্চল্য এলাকায়। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন ভাবে কিছু বলা হচ্ছে না। মুখ খুলতে চাইছে না কেউ। আবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান জানান ঘটনাটি আমি শুনেছি,কি হয়েছে বা কেন হয়েছে সমগ্র ঘটনাটা খতিয়ে দেখে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে কটাক্ষের সুর চড়িয়েছে বিজেপি, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার কো-কনভেনার দীপক ঋষি জানান এতদিন সাধারণ মানুষ মার খাচ্ছিল, এখন সরকারি আধিকারিকরাও মার খাচ্ছে। ছাপ্পাশ্রী, কাটমানি, তোলাবাজির সরকার কে সময় আসলে পশ্চিমবাংলার মানুষ যোগ্য জবাব দিবে। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ওই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এনআরজিএস প্রকল্পের বিল আটকে রাখা হয়েছে। পঞ্চায়েতের অধীনে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে পঞ্চায়েত সদস্যা হাসিনা বিবির ছেলে শেখ হাসিদুল। আর এই বিল আটকে রাখা নিয়ে শেখ হাসিদুলের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন পঞ্চায়েতের কর্মরত আধিকারিক। অভিযোগ সেই সময় পার্থদেব উপাধ্যায় নামে এক আধিকারিকের ওপর চড়াও হয় পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে শেখ হাসেদুল। সেই সময় ধাক্কাধাক্কি করা হয় ওই আধিকারিক কে। পাশাপাশি হেনস্তা করা হয় সংবাদমাধ্যমকেও। পার্থ দেব উপাধ্যায় নামে আধিকারিক তিনি গ্রাম উন্নয়নের দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন ওই আধিকারিক এই মুহূর্তে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও বিপ্লব ঘোষ। এছাড়াও পঞ্চায়েত প্রধান জয়নব নেশা এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশও ওই আহত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়েও মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে। যে ক্ষেত্রে দেখা যায় বহু দরিদ্র মানুষ যাদের ঘর পাওয়া উচিত, তারা ঘর পায় না। কিন্তু, ঘরের তালিকায় দেখা যাচ্ছে ঘর পেয়েছে হাসিনা বিবি ও ছেলে শেখ হাসেদুল এবং তার স্বামী মহাম্মদ জুল্লু। প্রশ্ন উঠছে যিনি পঞ্চায়েত সদস্যা কি ভাবে তার এবং তারই পরিবারের দুজনের নামে ঘরের টাকা ঢুকলো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct