মহামেডান স্পোর্টিং ৩-(মার্কাস ২,রুডোভিচ ১ পেনাল্টি) শ্রীনিধি ডেকান-১ (ডেভিড মুনোজ)
মোস্তাফিজুর রহমান,কল্যাণী,আপনজন: ম্যাচের বয়স তখন ৮৬ মিনিট!সেখ ফাইয়াজের শট প্রতিহত হল বিপক্ষ ডিফেন্ডারের হাতে লেগে।রেফারি পেনাল্টি দিতে দ্বিতীয়বার ভাবলেন না। যদিও সাময়িক অসন্তোষ প্রকাশ করে শ্রীনিধি’র ফুটবলাররা। যদিও কর্ণপাত করেননি রেফারি। কিন্তু, অবাক করার বিষয় হলো হ্যাট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দলের সেরা গোল স্কোরার মার্কাস জোসেফ এগিয়ে দিলেন সতীর্থ রুডোভিচকে। অথচ এই গোলটি করতে পারলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে যেত মার্কাস, সাথে হ্যাট্রিক সম্পন্ন হতো। কিন্তু,সহ ফুটবলার রুডোভিচকে পেনাল্টি মারতে দিয়ে প্রমান করলেন মহামেডান টিমে সৌহার্দ্য কতটা বেশী।
দলের মধ্যে এই বোঝাপড়াই যে একটা টিমের অমূল্য সম্পদ, তা বলার অবকাশ রাখে না। এবং মহামেডান ড্রেসিংরুমে যে এখন ‘ফিলগুড’ পরিবেশ, সেটা কল্যাণীর মাঠে মহামেডান খেলোয়াড়দের শরীর ভাষায়ই প্রকাশ পাচ্ছিল। যদিও আজকের ম্যাচটি শুরু হয়েছিল অন্য রকমভাবে। ম্যাচের শুরু থেকেই মহামেডান রক্ষনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুনোজ,লুইসরা।ফলও পায় হাতেনাতে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে লুইস ওগানার থেকে বল পেয়ে ডেভিড মুনোজ মহামেডানের দুই স্টপার আশির আখতার এবং শাহির শাহিনের মাঝখান থেকে দারুন প্লেসিংয়ে শ্রীনিধি ডেকানকে এগিয়ে দেন (১-০)। গোল খেয়ে তেড়েফুঁড়ে আক্রমনে যায় সাদা কালো চিতারা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে নিকোলার মাপা ক্রুসে মাথা ছুঁইয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান ত্রিনিদাদ এন্ড টোব্যাগো’র গোলমেশিন মার্কাস জোসেফ (১-১)। প্রথমার্ধে স্কোর লাইন সমান থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে বিশ্বমানের গোল করে মহামেডানকে লিড এনে দেন সেই মার্কাস জোসেফ (২-১)। এরপর দুই দলই বেশ কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন করে ম্যাচের রঙ বদলাতে চেষ্টা করে। তবে,এবারেও বিপক্ষকে টেক্কা দেয় ব্ল্যাক প্যান্থাররা। ৮৬ মিনিটে শ্রীনিধি ডেকান-এর কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন মহামেডানের আর এক বিদেশী অ্যাঞ্জেলো রুডোভিচ (৩-১)। দলগত সংহতি আর ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে জয়ের হ্যাট্রিকে মহামেডানকে সত্যিই অপ্রতিরোধ্য লাগছে! এবারের আই লিগ মহামেডান পাবে কিনা সময়ই বলবে,তবে মহামেডান স্পোর্টিংকে চ্যাম্পিয়নের মতো দেখাচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct