আপনজন ডেস্ক: রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসনে তুমুল বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে শনিবার বলা হয়, বন্দর শহর খেরসনকে ঘিরে এখনো লড়াই চলছে। তবে রাশিয়ান কর্মকর্তারা বলছেন এ শহর তাদের ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। খেরসনের মেয়র ইগর কোলিখায়েভ এএফপি বলেন, রাশিয়ান সৈন্যরা শহরের রাস্তায় অবস্থান করছে। তারা প্রশাসন ভবনেও এসেছিল। তিনি জানান, তিনি রাশিয়ার সেনাদের বলেছেন বেসামরিক লোকদের গুলি না করার জন্য এবং তাদের রাস্তা থেকে মৃতদেহ সংগ্রহ করার অনুমতি দিতে বলেছেন। মেয়র ইগর কোলিখায়েভ এক বিবৃতিতে বলেন, আমি শুধু বলেছি ইউক্রেনীয়দের ওপর গুলি না করতে। শহরে আমাদের কোনো ইউক্রেনীয় বাহিনী নেই, শুধু বেসামরিক মানুষ এবং এখানে যারা বাঁচতে চায় তারা আছে। খেরসন তিন লাখ জনসংখ্যার একটি শহর। কৃষ্ণ সাগরে প্রবাহিত ডিনিপার নদীর তীরে অবস্থিত এ শহর। রাশিয়ান সৈন্যরা শহরটি দখল করার মাধ্যমে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে জল সরবরাহ পুনরুদ্ধার করতে পারবে। খেরসন অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। আক্রমণের শুরুর পরদিন রাশিয়ান বাহিনী একটি সেতু দখলে নেয় যা শহরটিকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ধীরে ধীরে তারা গুরুত্বপূর্ণ শহরটি দখলে নেয়। রবিবার সকালে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অন্তত দু হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। তারা ‘রাশিয়া ফিরে যাও’ এবং ‘খেরসন ইউক্রেনের’ বলে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা পতাকা নেড়ে ইউক্রেনের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে থাকে। তারা শহরের কেন্দ্রের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। বিবিসি জানায়, পুরো শহরজুড়ে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। তারা প্রতিটি গাড়ি চেক করছে। স্থানীয়রা বিবিসিকে বলেন, রাশিয়ান সেনাদের কাছে ইউক্রেনের অ্যাক্টিভিস্টদের তালিকা রয়েছে। তাদের তারা বন্দী করতে পারে। টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জেলেনস্কি বলেছেন, আমরা এমন একটি জাতি যারা এক সপ্তাহের মধ্যে শত্রুদের পরিকল্পনা ভেঙ্গে দিয়েছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct